টাক মাথায় নতুন চুল গজানোর ঔষধ

চুল পড়ার সমস্যাটি খুবই গুরুতর একটি সমস্যা। চুল পড়তে পড়তে যাদের নতুন চুল গজায় না তাদের চুল ক্রমে পাতলা হতে শুরু করে এবং টাক দেখা দিয়ে থাকে।টাক মাথায় নতুন চুল গজানোর ঔষধতখন তারা মাথার টাক ঢাকার জন্য চুল গজানোর ঔষধ বা কোন ওষুধ গুলো খেলে আবার পুনরায় নতুন চুল গজাবে সেই সম্পর্কে জানতে চান। কেননা মাথার চুল ঘন করে তোলার জন্য নতুন চুল গজিয়ে তোলাটা খুবই জরুরী।

তাই যারা দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন চুল গজাতে চাই এবং চুলকে দ্রুত ঘন করে তুলতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চুল গজানোর ঔষধ?

টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু কোন ঔষধ গুলো ব্যবহার করা হয় চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা হয় সেই সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে।

মাথায় নতুন চুল গজানোর যে পদ্ধতি রয়েছে তাকে বলা হয় মেডিকেশন। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে যে ঔষধ গুলি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম ফেনাস্টেরাইড এবং মিনোক্সিডিল।

যাদের মাথায় চুল অনেক কম এবং মাঝখানে টাক পড়ে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধগুলি ব্যবহার করার জন্য বলা হয়ে থাকে এবং তারা এই ওষুধ গুলো ব্যবহার করলে সন্তোষজনক ফল পেয়ে থাকেন।

নতুন চুল গজানোর ঔষধ কি?

বাজারে নতুন চুল গজানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ আপনারা একটু সন্ধান করলে খুঁজে পেয়ে যাবেন। কিন্তু এদের মধ্য থেকে অবশ্যই আমাদেরকে কার্যকরী ঔষধ গুলো খুজে বের করতে হবে তাহলে আমাদের চুলের ক্ষতি সাধন হতে পারে।

পুরুষদের জন্য সাধারণত চুল গজানোর ঔষধ হিসাবে Minoxidil 5% Topical solution এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে Minoxidil 2% Topical solution ব্যবহার করতে বলা হয়ে থাকে।

আর এই ঔষধ দুটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ কোম্পানির তৈরি ঔষধ এবং ৩৯৫ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আর এই ওষুধগুলোর বিদেশীও রয়েছে যেগুলো সাধারণত ১০০০-১৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

ছেলেদের চুল গজানোর ঔষধ?

চুল গজানোর ওষুধ হিসেবে বাংলাদেশে মিনোডক্সিল খুবই জনপ্রিয় ঔষধ। ছেলেদের এবং মেয়েদের চুল গজানোর জন্য কি Minoxidil ঔষধ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এই ঔষধটি ব্যবহারে টাক মাথায় নতুন করে চুল গজাচ্ছে।

রক্তশূন্যতা, দীর্ঘমেয়াদী জ্বর এবং শরীরের আরো অন্যান্য রোগের কারণে এবং হরমোন জনিত সমস্যার জন্য চুল পড়ার হার অনেক বেড়ে যেতে পারে এবং মাথায় টাক দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই চুল আপনারা চাইলে পরবর্তীতে আবার ফিরে পেতে পারেন।

হঠাৎ মাথার কোন স্থানের চুল পড়ে যাওয়াকে অ্যালোপেসিয়া বলা হয়ে থাকে চিকিৎসকদের ভাষায়। চুল গজানোর জন্য মিনোডক্সিল বা অন্যান্য যে কোন ঔষধ আপনারা ব্যবহার করুন না কেন এখান থেকে কোন সময়ই দীর্ঘমেয়াদী ফল আসবে না।

এই ক্ষেত্রে যতদিন minoxidil ঔষধ ব্যবহার করবেন ততদিন নতুন চুল গজাতে শুরু করবে এভাবে কিন্তু মিনোডক্সিল ঔষধ ব্যবহার করা বাদ দিয়ে দিলে আবার চুলের গ্রোথ কমে যাবে।

তাই এই ক্ষেত্রে যদি কেউ দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজে থাকেন তাহলে হেয়ার ট্রান্সলেট করাতে পারেন। হেয়ার ট্রান্সলেট হচ্ছে চুল পড়া রোধের দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান এবং এর মাধ্যমে নতুন চুল গজানো সম্ভব।

এই প্রক্রিয়ায় মাথার পিছনের দিক থেকে চুল তুলে এনে সারা মাথায় লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং টাকের সমস্যা দূর করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না এবং এর জন্য চুলের তেমন পরিচর্যাও করতে হয়।

হেয়ার ট্রান্সলেট করার ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই রেজাল্ট দেখা যাবে এবং মাথায় নতুন চুলে ভরে যাবে।তাছাড়া অনেকেই নতুন চুল গজানোর জন্য পিআরপি থেরাপি নিয়ে থাকেন এবং চুল পড়া বন্ধ করার জন্য এটি খুবই কার্যকরী।

তবে পিআরপি থেরাপি সবার ক্ষেত্রে কাজ করে না এবং সবার ক্ষেত্রে এটি চুল গজাতেও সাহায্য করে না।তাই তারা এই ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে হেয়ার ট্রান্সলেট করতে পারেন কিন্তু অনেকেই হেয়ার ট্রান্সলেট করতে পারেন না এই চিকিৎসাটি খুবই ব্যয়বহুল বলে।

চুল গজানোর হোমিও ঔষধ?

চুল গজানোর জন্য কিছু হোমিও ঔষধ রয়েছে যে ঔষধ গুলো খুবই কার্যকরী। টাকের ধরনভেদে এই হোমিও ঔষধ গুলো রোগীকে ব্যবহার করার জন্য বলা হয়ে থাকে।

যাদের অতিরিক্ত চুল ওঠে এবং চুল অনেক পাতলা হয়ে গিয়েছে এবং নতুন চুল গজাতে চান তারা চাইলে নেট্রাম মিউর ব্যবহার করতে পারেন।

তাছাড়া নতুন চুল গজানোর জন্য হোমিওপ্যাথিক আরো কিছু ঔষধ রয়েছে যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  • ফসফরাস
  • লাইকোডিয়াম
  • ফ্লুরিক এসিড
  • সেলেনিয়াম
  • থুজা

যারা হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে নতুন চুল গজাতে চান তারা চাইলে একজন ভাল হোমিও ডাক্তারের সরনাপন্ন অনুযায়ী এই ওষুধগুলো চুলের ধরনভেদে ব্যবহার করতে পারেন এবং দ্রুত নতুন চুল গজিয়ে তুলতে পারেন।

শেষ কথা, নতুন চুল গজানোর ঔষধ বা খুবই খদ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন চুল গজানো যায় ডাক্তারী চিকিৎসার মাধ্যমে আশা করি আজকের পোস্টটি করার মাধ্যমে সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

তার পরেও যদি এই বিষয়ে কিছু জানান থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Sharing Is Caring:

This website mainly provides information on exercise, fitness, wellness, healthy living, etc. in the Bengali language.

Leave a Comment