ফুসকুড়ি দূর করার উপায়

মাঝেমধ্যে আমাদের ত্বকের অনেক স্থানে ফুসকুড়ি দেখা দিয়ে থাকে। আর এই সকল ফুসকুড়ি যখন হয়ে থাকে তখন আমাদের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। ফুসকুড়ি হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে অপরিষ্কার।ফুসকুড়ি দূর করার উপায়অর্থাৎ যদি ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া হয় এবং যদি ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কার করা না হয় তাহলে ফুসকুড়ির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ফুসকুড়ি থেকে দূরে থাকতে অবশ্যই ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

যাদের ফুসকুড়ি হয়ে থাকে তারা ফুসকুড়ি দূর করার জন্য নানান ধরনের ঘরোয়া উপায়ে থেকে শুরু করে অনেক ধরনের ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন।

তাই আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ফুসকুড়ি দূর করার উপায় বা কিভাবে খুব সহজে ফুসকুড়ি দূর করা যায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

ফুসকুড়ি দূর করার ঘরোয়া উপায়?

ফুসকুড়ি দূর করার ঘরোয়া উপায় বা ফুসকুড়ি কিভাবে দূর করা যায় সেটা সম্পর্কে যদি না জানা থাকে তাহলে এর চিকিৎসা কোন ভাবেই করা সম্ভব নয়।

বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যারা ফুসকুড়ি দূর করতে চান তারা অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি বিস্তারিত পড়ুন।

ফুসকুড়ি দূর করার জন্য কোন ঘরোয়া প্যাক গুলো আপনার জন্য ভালো হবে তা নিচে দেওয়া হলোঃ

১. পাতিলেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন

যাদের অতিরিক্ত ফুসকুড়ি রয়েছে তারা ফুসকুড়ি আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন পাতিলেবুর রস লাগাতে পারেন। ফুসকুড়ি থেকে সংক্রমণ রোধ করতে পাতিলেবুর রস কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

তবে অবশ্যই ফুসকুড়ি আক্রান্ত স্থানে পাতিলেবুর রস একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না।তারপর সুন্দর করে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে।

২. নিমপাতার ব্যবহার করতে পারেন

নিমপাতা প্রাচীনকাল থেকেই চুলকানি এবং ফুসকুড়ির ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হিসেবে নিমপাতা কাজ করে থাকে।

তাই যাঁদের ত্বকে অতিরিক্ত ফুসকুড়ি রয়েছে তারা গরম পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে তারপর নিম পাতা ব্যবহার করবেন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করার মাধ্যমেই আপনার এই সমস্যা থেকে পরিত্রান মিলবে।

মুখের ফুসকুড়ি দূর করার উপায়?

মুখে যদি কোন ধরনের ফুসকুড়ি বা কোন গোটা দাগের জন্ম হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদের সৌন্দর্যে ভাটা ফেলে।তাই মুখের ফুসকুড়ি দূর করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

মুখের ফুসকুড়ি দূর করার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

ধনেপাতা ও হলুদ গুড়ার প্যাক

ধনেপাতা বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি সারাতে দারুন কার্যকরী একটি উপাদান। তাই যাঁদের ত্বকে ফুসকুড়ি রয়েছে তারা ফুসকুড়ি দূর করার জন্য ধনে পাতা এবং হলুদ গুঁড়ার প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

প্রথমে ধনে পাতা বেটে নিয়ে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ফেলুন। তারপর মিশ্রণটি সুন্দরভাবে ত্বকে লাগাতে হবে এবং এইভাবে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।এই ভাবে ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ফুসকুড়ি দূর হয়ে যাবে।

গোলাপ জল এবং দারুচিনির প্যাক

গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আমাদের ফুসকুড়ি এবং ব্রণের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।প্রথমে একটি পাত্রে দারুচিনি এবং গোলাপজল নিয়ে সুন্দরভাবে মিশ্রণ তৈরী করে নিতে হবে।

তারপরে এই মিশ্রণটি সুন্দরভাবে ত্বকে লাগাতে হবে এবং ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে।এই মিশ্রণটি লাগানোর ফলে আপনার ফুসকুড়ি বা চুলকানির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে এবং কিছুদিন ব্যবহারের মাধ্যমে সেরে যাবে।

ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করার উপায়?

ত্বকের ফুসকুড়ি খুবই বিরক্তিকর এবং একবার যেন ফুসকুড়ির সমস্যার সৃষ্টি হতে থাকলে আর শেষ হতে চায় না। ফুসকুড়ি ত্বকের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে।

তাই ফুসকুড়ির সমস্যা যদি উপরের ঘরোয়া প্যাক গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে না ছাড়ে তাহলে সরাসরি একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন এবং তার চিকিৎসা নিয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

মাথায় ফুসকুড়ি দূর করার উপায়?

ফুসকুড়ি আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। আর এই ধরনের ফুসকুড়ি থেকে সাধারণত টিউমারের সৃষ্টি হতে পারে। অনেকের মাথায় ফুসকুড়ির সৃষ্টি হতে পারে।

যাদের মাথায় ফুসকুড়ি হয়েছে তারা অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারেন। কেননা মাথায় ফুসকুড়ি দূর করার জন্য কোন ধরনের বাজে চিকিৎসা নেওয়া উচিত নয় এতে করে পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

শেষ কথা, ফুসকুড়ি দূর করার উপায় বা কিভাবে খুব সহজে ফুসকুড়ি দূর করা যায় সেটা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন।

ঘরোয়া ভাবে উক্ত প্যাকগুলো তৈরি করে খুব সহজেই ফুসকুড়ি সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। তার পরেও যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Sharing Is Caring:

This website mainly provides information on exercise, fitness, wellness, healthy living, etc. in the Bengali language.

Leave a Comment