ফেমিকন হচ্ছে এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ করুন পিল। অনেক সময় ডাক্তার রোগীকে এই পিলটি খাওয়ার জন্য সাজেস্ট করে থাকেন। বর্তমান সময়ে অনেক মহিলা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার করে তাদের পরিবার পরিকল্পনা করে নিচ্ছে।অর্থাৎ অনেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করণ নিয়ে অনেক চিন্তায় রয়েছেন। হয়তো এই বিষয়ে সমাধানের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না বা হচ্ছে না। তাই তাদের জন্য সবথেকে ভালো হবে ফেমিকন ট্যাবলেট সেবন করা।
আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম,ফেমিকন কি কাজ করে, ফেমিকন খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ
femicon এর কাজ কি?
ফেমিকন হচ্ছে এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ করন পিল এবং এই পিলটি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অর্থাৎ আপনি যদি সন্তান নিতে না চান তাহলে এই পিলটি নিয়মিত খেতে পারেন।
পরবর্তীতে আপনি যদি কখনো পিল খাওয়া বন্ধ করে দেন। তাহলে আপনার আবার গর্ভধারণ করার ক্ষমতা ফিরে চলে আসবে। এই পিলটি খাওয়ার ফলে মাসিক নিয়মিত হয়ে থাকে এবং মাসিকের অনেক অসুবিধা খুব দ্রুত কমে যায়।
তাছাড়া নিয়মিত খাওয়ার ফলে নারীদের শরীরে আরো অনেক ধরনের উপকারিতা সাধন হয়ে থাকে যেমনঃ ওয়ারিয়ান সিস্ট, আর্থারাইটিস এবং অ্যানিমিয়ার মত সমস্যা গুলো থেকে শরীর দূরে থাকে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম?
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সর্বপ্রথম জেনে নিতে হবে। কেননা আপনি যদি স্বাভাবিক নিয়মে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম জেনে নিতে হবে।
ফেমিকনের যে সাদা বড়িটি রয়েছে সেটি মাসিক শুরুর প্রথম দিন বা দ্বিতীয় দিন থেকে একটানা ২১ দিন পর্যন্ত খেতে হবে। ২২তম দিন থেকে লাল বা খয়রি রঙের যে বড়িটি রয়েছে সেটি একটানা সাত দিন একটি করে খেতে হবে।
সাতটি বড়ি যদি খাওয়া শেষ হয়ে যায় তাহলে এক সপ্তাহ পর মাসিক শুরু হয়ে যাবে। অর্থাৎ মাসিক শুরু হয়ে যাওয়ার দ্বিতীয় দিন পর থেকে আপনাদেরকে আবারো আরেকটি পাতার সাদা বড়ি খাওয়া শুরু করে ফেলতে হবে।
আর এই পদ্ধতিতে প্রতি মাসে একটি করে পাতা মোট ২৮টি পিল এক মাসে খেতে হবে। কোন কারনে যদি পিল খাওয়া মিস করে ফেলেন তাহলে অবশ্যই পরের দিন পিল খেয়ে নিতে হবে।
অর্থাৎ যদি কোন কারণে দুইদিন পিল খেতে ভুলে যান তাহলে পরের দিন দুইটি পিল এবং তারপরের দিন দুইটি পিল খেতে হবে।
ফেমিকন খাওয়ার অপকারিতা | ফেমিকন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ফেমিকন পিল হচ্ছে অনিয়মিত গর্ভধারণ রোধ করার পিল। ফেমিকন ট্যাবলেট খাওয়ার তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু রোগীর সাময়িক সমস্যা হয়ে থাকে।
যেমনঃ মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা সহ বমি ভাবের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে পিল খাওয়াকালীন সময়ে। তবে নিয়মিত যখন আপনি পিল খেতে থাকবেন এবং কিছুদিন অতিক্রান্ত হয়ে যাবে তখন এই সমস্যাগুলো আর হবে না।
অর্থাৎ কিছুদিন এই সমস্যা হওয়ার পর আবার ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি সমস্যা না ঠিক হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
ফেমিকন খেলে কি মোটা হয়?
অনেক মেয়ে প্রশ্ন করে থাকে ফেমিকন খেলে কি মোটা হয়। দেখুন ফেমিকন ট্যাবলেট হচ্ছে এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ করার পিল। আর মোটা হওয়ার বিষয়টা সাধারণত নির্ভর করে থাকে আমাদের শরীরের হরমোন এবং জীবনযাত্রার উপর।
তাই ফেমিকন ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে কিছু কিছু মেয়েরা পিল খাওয়া কালীন সময়ে মোটা হয়ে যায় যার কারণে অনেকের এইটা ভুল ধারণা যে ফেমিকন ট্যাবলেট খেলে মোটা হয়।
ফেমিকন এর দাম কত | ফেমিকন এর মূল্য
যারা বাজার থেকে ফেমিকন ট্যাবলেট কিনে আনতে চান তাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান ফেমিকন এর মূল্য কত। সাধারণত ফেমিকন ট্যাবলেট আপনারা যে কোন ধরনের বড় ঔষধের দোকানগুলোতে পেয়ে যাবেন।
এক পাতা ফেমিকন ট্যাবলেট ৪২ টাকা নিয়ে থাকে। আপনি যত পাতা ফেমিকন ট্যাবলেট নিবেন আপনার ৪২ টাকা পাতা হিসেবে বড়ির দাম হিসাব করা হবে।
ফেমিকন পিলের কার্যকারিতা কত ঘন্টা
আপনি যদি নিয়মিত ফেমিকন পিল সেবন করতে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এর কার্যকারিতা যতদিন পিল খাবেন ততদিন থাকবে।
অর্থাৎ আপনি যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণকরণ করার জন্য ফেমিকন পিল তাহলে এটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পরপরই আপনার গর্ভধারণ করার ক্ষমতা চলে আসবে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
ফেমিকন পিল খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয় এই নিয়ে অনেকে জানার আগ্রহ রয়েছে। ফেমিকন হচ্ছে এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ করেন পিল।
প্রথম মাসিকের পর থেকে আপনি যখন ফেমিকনের খয়রি বড়ি খেতে শুরু করবেন তার ১৪ দিন পর সাধারণত মাসিক হয়ে থাকে।
ফেমিকন পিল খাওয়ার কত দিন পর সহবাস করা যায়?
ফেমিকন এক ধরনের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ করণ করার পিল। পিল খাওয়ার সময় কোন নির্দিষ্ট নিয়ম বলে দেওয়া হয়নি যে ফেমিকন পিল খাওয়ার পর সহবাস করা যাবে না।
অর্থাৎ ফেমিকন পিল খাওয়ার পরও স্বাভাবিক নিয়মে সহবাস করা যাবে। কেননা জন্মনিয়ন্ত্রণ রোধ করার জন্য এই পিলটি দেওয়া হয়ে থাকে।
শেষকথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম ও ফেমিকন ট্যাবলেট খেলে কি কি হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তারপরেও যদি কোন বিষয় নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নটির খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়া হবে।