নেবুলাইজার মেশিন কি? কিভাবে কাজ করে থাকে, নেবুলাইজার মেশিনের দাম কত এই সকল বিষয়গুলো নিয়েই থাকছে আজকের পোস্ট।অনেকেই আছেন যাদের নেবুলাইজার মেশিন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই তারা চাইলে আজকের পোস্টটি বিস্তারিত ও মনোযোগ সহকারে পড়ে এই বিষয়ে ধারণা নিতে পারেন।
নেবুলাইজার মেশিন কি?
নেবুলাইজার হচ্ছে এক ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করার জন্য তৈরিকৃত মেশিন। এই পদ্ধতিতে ঔষধ সরাসরি না খাওয়াইয়ে ওষুধের মিশ্রণকে গ্যাসে রূপান্তর করে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়াই হচ্ছে নেবুলাইজার মেশিনের কাজ। রোগীদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নেবুলাইজার মেশিনের কাজ?
নেবুলাইজার মেশিনে একটি কম্প্রেসার থাকে। এর সাথে লাগানো থাকে এক ধরনের এয়ার পাইপ।আর এর মুখের দিকে থাকে ওষুধ দেওয়ার জায়গা ও শ্বাস প্রশ্বাস দেওয়ার জন্য মাক্সের মত মাউথ পিস।
ওষুধের পাত্রে ওষুধ ভরে কম্প্রেসার অন করলে এয়ার পাইপের মধ্য দিয়ে হাওয়া এসে তা সাধারণত ভ্যাপার হিসেবে নাকে পৌঁছে দিয়ে থাকে। যা সরাসরি নাক দিয়ে শ্বাসনালীর পথ দিয়ে পৌঁছায়।
নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারের নিয়ম?
নেবুলাইজার মেশিন আমাদের বিভিন্ন রোগের সমস্যায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিচে কোন রোগগুলির ক্ষেত্রে নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা উল্লেখ করা হলোঃ
শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহার হয়
অনেকের আকাশ পথে ভ্রমণের সময় খিচুনিজনিত সমস্যা হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে তারা নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহার করতে পারেন।
এই সমস্যাটি সাধারণত এলার্জিজনিত কারণে হয়ে থাকে তাই নেবুলাইজার মেশিন সাথে থাকলে সেটি ব্যবহার করার মাধ্যমে খিচুনির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দীর্ঘদিন ফুসফুসের কোন রোগ থাকলে ব্যবহার করা যেতে পারে
আমাদের ফুসফুস যখন সঠিকভাবে বাতাস পায় না তখন ফুসফুসে এক ধরনের জ্বালাপোড়া ভাব অনুভূত হয়ে থাকে। যাদের এই ধরনের সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নেবুলাইজার মেশিন দারুন কাজ করে থাকে।
সিস্টিক ফাইব্রোসিসে ব্যবহার করা যেতে পারে
সিস্টিক ফাইব্রোসিস হচ্ছে এক ধরনের জেনেটিক রোগ যা সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করে থাকে। এর ফলে শরীর থেকে এক ধরনের মোটা মিউকাস জাতীয় পদার্থ তৈরি হয়ে থাকে যা ফুসফুস ও অগ্নাশয়ের পথকে রোধ করে থাকে।
তাছাড়া অন্যান্য শ্বাসকষ্টে জনিত সমস্যায়ও নেবুলাইজার দারুন কাজ করে থাকে।এমন অনেক রোগী আছেন যাদের জন্য দ্রুত শ্বাসকষ্টের সমাধান প্রয়োজন তাদের জন্য নেবুলাইজার ব্যবহার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
এই মেশিনটি খুবই দ্রুত কাজ করে থাকে এবং রোগীকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। এবার নিচে জানানো হবে রোগীরা নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারের আগে কি করবেনঃ
১. ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে
নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই আমাদের হাত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। অর্থাৎ নেবুলাইজার মেশিন হাতে নেওয়ার আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তারপর টিস্যু দিয়ে সুন্দর করে হাত মুছে নিতে হবে এবং জীবনমুক্ত করে নিতে হবে।
২. নেবুলাইজার মেশিনে সঠিক নিয়মে ওষুধ ঢোকানো
নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারের আগে নেবুলাইজার মেশিনের ঢাকনা খুলে তার ভিতরে ঔষধ প্রবেশ করাতে হবে। নেবুলাইজার মেশিনে ব্যবহৃত অনেক ঔষধই সাধারণত আগে থেকে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
তাই শুধুমাত্র আপনারা ঔষধ প্রবেশ করালেই হবে। আর যদি ঔষধের ডোজ ঠিক না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ঔষধ ঠিকমতো পরিমাপ করে তারপর ঢোকাতে হবে। পরিমাপ করা হয়ে গেলে ঔষধ মেশিনে দিয়ে দিতে হবে।
মেশিনে ঔষধ দেওয়া হয়ে গেলে ঢাকনাটি ভালোভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ঔষধ যেন না পড়ে অবশ্যই সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নেবুলাইজার মেশিনটি যদি ব্যাটারি চালিত না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি পাওয়ারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ জেট ও নিউমেটিক নেমুলাইজার মেশিন ব্যবহার হয়ে থাকে। তাছাড়া নতুন কিছু নেবুলাইজার মেশিন রয়েছে যেগুলোতে খুব সুন্দর ভাবে ঔষধ ব্যবহার করা যায়।
আপনি যদি নেবুলাইজার মেশিন চালাতে না পারেন তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
৩. মাউথ পিস লাগাতে হবে
নেবুলাইজার মেশিন থেকে মাউথ পিস আলগা করে নিতে হবে। নেবুলাইজার ভেদে এটি ভিন্ন রকম হতে পারে। বর্তমানে অধিকাংশ নেবুলাইজারে ফেস মাক্সের পরিবর্তে মাউথ পিস লাগানো থাকে।
৪. টিউবের সাথে যুক্ত করতে হবে
টিউবের এক প্রান্ত নেবুলাইজার মেশিনের সাথে যুক্ত করতে হবে। অধিকাংশ নেবুলাইজারে এই টিউবটি কাপের নিচের প্রান্তের দিকে যুক্ত করে ফেলতে হয়। আর ওপর যে প্রান্তটি রয়েছে সেটি এয়ার কম্প্রেসের সাথে যুক্ত করতে হয়।
৫. এয়ার কম্প্রেস চালু করা ও নেবুলাইজার ব্যবহার করা
মুখে লাগিয়ে ফেলতে হবে এবং মুখ বন্ধ করে ফেলতে হবে। তারপরে খুবই ধীরে ধীরে গভীরভাবে শ্বাস টানতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই শ্বাসটি যেন সরাসরি ফুসফুসে যায় সেটি খেয়াল করতে হবে।
শ্বাস ত্যাগ আপনারা মুখ অথবা নাক দিয়ে করতে পারেন। বয়স্ক ব্যক্তি বা শিশুদের ক্ষেত্রে মাউথ পিস এর পরিবর্তে এরোসল মাক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা অনেক ক্ষেত্রে তারা মাউথ পিস মুখের সাথে ধরে রাখতে পারেন না।
৬. শ্বাসক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে
ওষুধ গ্রহণ যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত শ্বাস গ্রহণ চালু রাখতে হবে। এটি শেষ হতে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে। যখন একবারে পুরো তরল ওষুধ শেষ হয়ে যায় তখন ওষুধের কুয়াসা ও শেষ হয়ে যায়।
নেবুলাইজার কাপ যখন খালি হয়ে যাবে তখন মাউথ পিস সরিয়ে নিতে হবে। তারপর গান অথবা টেলিভিশন দেখা শুরু করতে পারেন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি নেবুলাইজার দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।
৭. নেবুলাইজার বন্ধ করে পরিষ্কার করতে হবে
কাজ শেষ করা হয়ে গেলে অবশ্যই নেবুলাইজার মেশিনটি বন্ধ করে ফেলতে হবে এবং ঔষধের কাপ ও মাউথ পিস মেশিন থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে। তারপরে হালকা গরম পানি দিয়ে মেডিসিন কাপ ও মাউথ পিস ধুয়ে ফেলতে হবে।
এরপরে আপনাদেরকে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। প্রতিবার মেশিন ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে এই কাজটি করতে হবে। যদি সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে আপনারা প্রতিদিন করতে পারেন।
তবে একটা বিষয় সকল সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কখনো টিউব পানিতে না ভিজে।টিউব যদি কখনো ভুলবশত ভিজে যায় তাহলে সেটি পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। নেবুলাইজার মেশিনের কোন জিনিস কখনো ডিস ওয়াসার দিয়ে ধৌত করা যাবে না।
নেবুলাইজার মেশিন জীবাণুমুক্ত করার জন্য আপনারা ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে একদিন নেবুলাইজার মেশিন ফিরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
শিশুর নেবুলাইজার ব্যবহারের নিয়ম?
শিশুদের ক্ষেত্রে নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারে একটু বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের যখন নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহার করাবেন তখন অবশ্যই তাদের কোন কিছুতে ব্যস্ত রাখাবেন তা না হলে তারা নেবুলাইজার মেশিন খুলে ফেলতে পারে।
তাছাড়া উপরের ধাপ গুলো পড়ার মাধ্যমে ইতিপূর্বে জেনে গিয়েছেন শিশুদের ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।
নেবুলাইজার মেডিসিনের নাম | নেবুলাইজার এর ঔষধ
নেবুলাইজারের সাথে ব্যবহার করার জন্য কিছু ঔষধ রয়েছে ডাক্তার এই ঔষধ গুলো ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
Beta Agonist
ডাক্তাররা নেবুলাইজার মেশিনের সাথে এই ওষুধটি ব্যবহার করতে বলে থাকেন কেননা এটি এমন এক ধরনের ঔষধ যা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং শ্বাসকষ্টের জন্য তো সমস্যায় দ্রুত আরাম দিয়ে থাকে।
Antibiotics
বাতাসের কারণে যদি কোন প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে থাকে। তখন এই এন্টিবায়োটিক ঔষধটি ব্যবহার করার জন্য বলা হয়ে থাকে।
Corticosteroids
নেবুলাইজারের সাথে এই ওষুধটিও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সাধারণত এক ধরনের স্টরয়েড জাতীয় ঔষধ। এই ওষুধটি সাধারণত জননী সমস্যার সমাধান করে থাকে।
নেবুলাইজার মেশিন কোথায় পাওয়া যায়?
নেবুলাইজার মেশিন কোথায় পাওয়া যায় বা কোথায় থেকে কিনতে হয় এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। নেবুলাইজার মেশিন আপনারা অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে অর্ডার দেওয়ার মাধ্যমে কিনে নিতে পারবেন।
তাছাড়া যদি সরাসরি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিনতে চান। তাহলে rafinet53@gmail.com এই ঠিকানায় মেইল করে জানাতে হবে।
নেবুলাইজার মেশিন প্রাইস ইন বাংলাদেশ | নেবুলাইজার মেশিনের দাম কত
নেবুলাইজার মেশিনের দাম কত বা কম দামে কোন মেশিনটা ভালো হবে এই নিয়ে এবার আপনাদের জানানোর চেষ্টা করা হবে। নিচে বর্তমান সময়ের অসাধারণ পাঁচটি লেবুরাইজার মেশিনের নাম দেওয়া হলোঃ
১. Supercare compressor Nebulizer Machine
কমদামের ভালো নেবুলাইজার মেশিন খুঁজছেন তাহলে এই মেশিনটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এই মেশিনটির ঔষধ ক্ষমতা হচ্ছে ৬ মিলি এবং এর গড় নেবুলাইজেশন রেট হচ্ছে ০.২ ml.অসাধারণ এই মেশিনটি আপনারা বাংলাদেশের বাজারে ২৫০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
২. Olive olv-So2 child adult air compressor Nebulizer machine
কমদামের ভালো নেবুলাইজার মেশিনের মধ্যে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মেশিনটির আউটপুট Flow: 10L/min এবং এর ঔষধের কাপের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ৮ মিলি।
তাছাড়া মেশিনটির মোট ওজন হচ্ছে ০.২৩ কেজি। মেশিনটি আপনারা বাংলাদেশের বাজারে ২৭০০টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
৩. Handheld mesh nebulizer machine
ভালো মানের নেবুলাইজার মেশিনের মধ্যে এই মেশিনটিকে রাখতেই হবে। এই মেশিনটি ব্যবহার করে রোগীরা শ্বাস নেওয়ার জন্য তরল ঔষধ স্প্রে করতে পারে। তাছাড়া এটি হচ্ছে একটি রিজার্জেবল হেলথ কেয়ার নেবুলাইজার মেশিন যা সাধারণত বাচ্চা এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই ব্যবহার করতে পারেন।
মেশিনটিতে সুইচ অন অফ করার জন্য বাটনও রয়েছে। লেবুরাইজার মেশিনটি আপনারা বাংলাদেশের বাজারে ২২০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
৪. Philips Respironics Nebulizer Compressor System
নেবুলাইজার মেশিনের মধ্যে এই মেশিনটি কেনা যেতে পারে। এই মেশিনটি ব্যবহার করে ৬ থেকে ৮ মিনিটের মধ্যে খুবই দ্রুত চিকিৎসা করা যাই।
তাছাড়া এই নেবুলাইজার মেশিনটি রোগীদের জন্য অনেকটা নিরাপদ। বাংলাদেশের বাজারের অসাধারণ এই মেশিনটি আপনারা ৩৮০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
৫.Omran NE-C28P Best Kids Nebulaizer Compressor Machine
বাজেট বেশি হলে Omran এর অসাধারণ নেবুলাইজার মেশিনটি কিনতে পারেন। এই নেবুলাইজার টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
অত্যন্ত পরিবেশ বান্ধব নেবুলাইজার মেশিনটি বাড়িতে বসেই ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে বাচ্চাদের এই নেবুলাইজার মেশিনটি ৬০০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
জেট নেবুলাইজার মেশিন এর দাম কত?
বাসা বাড়িতে বা ফার্মেসিতে যে সকল নেবুলাইজার মেশিন পাওয়া যায় সেগুলোকে জেট নেবুলাইজার মেশিন বলা হয়ে থাকে।
অনেকের জেট নেবুলাইজার মেশিনের প্রয়োজন হয়ে থাকে তারা চাইলে Handheld mesh nebulizer মেশিনটি কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এই মেশিনটি আপনারা বাংলাদেশের বাজারে ২২০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন নেবুলাইজার মেশিন কি, নেবুলাইজার মেশিন ব্যবহারের নিয়ম,ও নেবুলাইজার মেশিনের দাম কত এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
তারপরেও যদি এই বিষয় সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা কোন কিছু বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।