হ্যাঁ, মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্সি বোঝা সম্ভব। সাধারণত, মাসিকের নির্ধারিত তারিখ পার হয়ে গেলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট (hCG টেস্ট) করে নিশ্চিত হওয়া যায়।আপনি চাইলে হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট (Urine hCG Test) করতে পারেন, যা সকালবেলার প্রথম প্রস্রাব দিয়ে করলে সবচেয়ে নির্ভুল ফল পাওয়া যায়।
তবে আরও নিশ্চিত হতে রক্তের পরীক্ষা (Beta hCG Test) করানো ভালো, কারণ এটি বেশি নির্ভুল ফল দেয়। কোনো উপসর্গ থাকলে বা সন্দেহ হলে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়?
গর্ভাবস্থা নির্ধারণের জন্য সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে। এই সময়ে শরীরে hCG (হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রোপিন) হরমোনের মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়ে যায়।
যা প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখুনঃ
১. সঠিক সময়
মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পর টেস্ট করলে ফলাফল বেশি নির্ভরযোগ্য হয়।
২. সকালের প্রস্রাব
সকালের প্রথম প্রস্রাবে hCG হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে, তাই এই সময় টেস্ট করলে ফলাফল আরও স্পষ্ট হয়।
৩. টেস্ট কিটের নির্দেশাবলী
টেস্ট করার আগে কিটের নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন এবং সঠিকভাবে অনুসরণ করুন।
যদি টেস্ট পজিটিভ আসে?
ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রেগন্যান্সি নিশ্চিত করুন এবং প্রাথমিক যত্ন নেওয়ার পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুনঃ থার্মোমিটার কি | থার্মোমিটার ব্যবহারের নিয়ম
যদি টেস্ট নেগেটিভ আসে কিন্তু মাসিক না হয়?
কয়েক দিন পর আবার টেস্ট করুন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন, কারণ কিছু ক্ষেত্রে hCG হরমোনের মাত্রা কম থাকলে প্রাথমিক টেস্টে ধরা নাও পড়তে পারে।
সতর্কতাঃ
প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের ফলাফল ১০০% নির্ভুল নাও হতে পারে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়।