বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দেশি বা বিদেশী কবুতর বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত কবুতরের খাদ্য ও পানির মাধ্যমে জীবাণুর সংক্রমন ঘটে।এছাড়াও অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠান্ডাজনিত কারণে অনেক সময় কবুতর দূর্বল এবং অসুস্থ হয়ে যায়। নিচে কবুতরের কিছু রোগের নাম দেওয়া হলঃ
- রানীক্ষেত বা ঝিমানো রোগ
- ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস
- রক্ত আমাশয় বা রক্ত পায়খানা
- কলেরা
- কবুতরের ক্যাংকার রোগের
- কবুতরের ঠান্ডা জনিত রোগ বা নিউমোনিয়া
- এসপারজিলোসিস
- বসন্ত বা পক্স রোগ
- সালমোনেলোসিস
রানীক্ষেত
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের প্রচলিত বেশ কিছু নাম আছে। যেমনঃ কবুতরের ঝিমানো রোগ ও কবুতরের চুনা পায়খানা ইত্যাদি। আর এ সংক্রামক ভাইরাস রোগে আক্রান্ত কবুতর থেকে সুস্থ কবুতরে রানীক্ষেত রোগের জীবাণু ছড়ায়।
এই রোগ মুরগির জন্য খুবই মারাত্বক। কবুতরেও রানীক্ষেত রোগ হয়ে থাকে। আর এ রোগের মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ হয়। সাদা ডায়রিয়া ও প্যারালাইসিস ইত্যাদি এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
কবুতরকে জীবিত বা মৃত টিকা (কিল্ড ভ্যাকসিন) প্রয়োগ ও খামারের জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বা বায়ো সিকিউরিটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে এ রোগকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ?
- প্রাথমিক অবস্থায় কবুতরের তীব্র জ্বর হয়ে থাকে।
- এ সময় কবিতর খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেবে।
- এ সময়ে কবিতর ঝিমাতে থাকবে।
- চুনের মত সাদা ও পাতলা পায়খানা করবে।
- দ্রুত ওজন কমে যায়।
- এরপর কবিতর কয়েক দিন পর মারা যায়।
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের টিকা দেওয়ার নিয়ম?
কবুতরের বাচ্চার বয়স সাত দিন হওয়া পরপরই বাচ্চার দুই চোখে দুই ফোটা গুলানো টিকা দিতে হবে। প্রথমবার ভ্যাকসিন দেওয়ার একুশ দিন পর, আবার ২ চোখে ২ ফোটা ভ্যাকসিন বা টিকা প্রয়োগ করতে হয়।
কবুতরের বাচ্চার রানীক্ষেতে রোগের ভ্যাকসিনের নাম হচ্ছে বিসিআরডিবি। কবুতরের রানীক্ষেত রোগের এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশের সকল প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাওয়া যায়। আর এই ভ্যাকসিনের রং হবে সবুজ।
তবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করা পাঁচ সিসি পানিতে সবুজ ভ্যাকসিনটি গুলিয়ে ব্যবহার করতে হবে। আর এভাবে প্রস্তুত করা ভ্যাকসিন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চার ঘন্টা পর্যন্ত রাখা যায়। বড় কবুতরের রাণীক্ষেতে রোগের ভ্যাকসিনের নাম হচ্ছে আরডিভি।
এই ধরনের ভ্যাকসিনের রং সাদা হয়। ফুটিয়ে ঠান্ডা করা ১০০ সিসি পানিতে বোতলের ভেতরের ঔষধটি গুলিয়ে প্রতিটি কবুতরকে এক সিসি করে পায়ের মাংসে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হয়।
কবুতরের বয়স ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ও প্রথম টিকা দেওয়ার ছয় মাস পর পূনরায় ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদান করতে হবে।
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন দেওয়ার সাবধানতা?
চোখে ভ্যাকসিনের ফোটা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে ভ্যাকসিনের পরিমাণ কম বা বেশি না হয়। ভ্যাকসিন ঠান্ড অবস্থায় পরিবহন এবং সংরক্ষণ করতে হবে।
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের চিকিৎসা?
ইহা কবুতরের একটি ভাইরাস জনিত রোগ। সত্যি বলতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকারি তেমন কোন ঔষধ নেই। কবুতর রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে শরীর দূর্বল হয়ে পরে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
আর এ সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন যাতে না হয় সেজন্য রেনামাইসিন (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন), সিপ্রোসল ভেট (সিপ্রোফ্লক্সাসি) ও এজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদির যেকোন একটি খাওয়ানো যেতে পারে।
আর সেই সাথে কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের ঔষধের নাম?
কবুতরের রানীক্ষেত রোগের ঔষধের জন্য অবশ্যই একজন ভ্যাটেরিনারি ডাক্তারের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহার করতে হবে। নিচে কবুতরের রানীক্ষেত রোগের ঔষধের নাম হলঃ
- রেনামাইসিন (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন)
- ভিটামিন সি
- ওরাল স্যালাইন
- প্যারাসিটামল
- সিপ্রোসল ভেট (সিপ্রোফ্লক্সাসি)
- এজিথ্রোমাইসি ইত্যাদি।
ইনক্লশন বডি হেপাটাইটিস
ইহা কবিতরের ভাইরাসজনিত রোগ। হার্পেস ভাইরাস (Herpes Virus) নামক এক প্রকার ভাইরাসের সংক্রমনে এই রোগ হয়ে থাকে। অসুস্থ কবুতরের বমির সাহায্যে এ সংক্রামক রোগ খামারের অন্যান্য সুস্থ কবুতরে মধ্যে বিস্তার লাভ করে থাকে।
আর এ রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৪০-১০০ ভাগ হয়ে থাকে। এ রোগের কোন চিকিৎসা না থাকার কারণে আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলাই রোগের বিস্তার রোধ ও প্রতিরোধের প্রধান উপায়।
ইনক্লশন বডি হেপাটাইটিস রোগের লক্ষণ?
- দূর্গন্ধযুক্ত বাদামী বা সবুজ ডায়রিয়া, ঝিমানো
- খাবারে অনীহা ও শুকিয়ে যাওয়া
- বমি করা ও হঠাৎ মারা যাওয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ।
রক্ত আমাশয়
বিভিন্ন প্রজাতির প্রটোজোয়া দ্বারা কবিতরের রক্ত আমাশয় রোগ হতে পারে। এই রোগ সংক্রামিত খাবার, পানি কিংবা লিটার থেকে মুখের মাধ্যমে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে ছড়ায়। এ রোগের মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ হয়।
এ রোগের প্রধান লক্ষণ হল রক্ত মিশ্রিত ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্ধা ও ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। রোগ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত কবুতরকে কার্যকরী জীবাণুনাশক দিয়ে শেড ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে ও কঠোর জৈবনিরাপত্তা বলায় রাখতে হবে।
কলেরা
হাঁস-মুরগির জন্য কলেরা এটি মারাত্বক রোগ। তবে কখনো কখনো কবুতরও কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের সঠিক চিকিৎসা না করা হলে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কবুতর মারা যায়।
কবুতরের কলেরা রোগের লক্ষণ?
- কবুতরের তীব্র জ্বর হয়।
- এ সময় কবিতর খাওয়া কমিয়ে দেবে।
- এ সময় কবিতর পাতলা বা তরল পায়খানা করবে।
- কবিতরের পায়খানা রং সবুজ হতে পারে।
- আক্রান্তের ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কবুতর মারা যায়।
কলেরা রোগের চিকিৎসা ও ঔষধ?
কলেরা রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কলেরা রোগের জন্য সালফার ড্রাগ ভাল কার্যকর। এ রোগ প্রাথমিক অবস্থায় থাকলে অক্সিটেট্রাসায়ক্লিন খাওয়ানো যেতে পারে। তবে একজন ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
- কসুমিক্স প্লাস
- সুপারমেড টিএস ১
কলেরা রোগের ভ্যাকসিন?
প্রত্যেক উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে কবুতরের কলেরা রোগের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। দুই মাস বয়সী কবুতরকে ১ সিসি ভ্যাকসিন কিংবা টিকা রানের মাংসে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।
কলেরা রোগ হওয়ার আশঙ্কা শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কমে যায়, যদি বছরে দুই বার কলেরা রোগের টিকা দেওয়া হয়।
ক্যাঙ্কার
বয়ষ্ক কবুতর থেকে দুধের মাধ্যমে বাচ্চার প্রটোজোয়ায় এ রোগের সংক্রমণ ঘটায়। আক্রান্ত জীবিত কবুতর সারাজীবনের জন্য এ রোগের জীবাণু বহন করে থাকে। কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ হয়ে থাকে।
ক্যাংকার রোগে আক্রান্ত কবুতর খুব অস্থির থাকে, পাখা উশকু ও খুশকু হয়ে যায়, খাদ্য গ্রহণ ক্ষমতা কমে যায় ও ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায়। আর এ রোগে আক্রান্ত কবুতরের মুখের চারদিকে সবুজাভ কিংবা হলুদ লালা লেগে থাকে। আর এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হয়।
নিউমোনিয়া বা ঠান্ডাজনিত রোগ
কবুতরের ঠান্ডা লাগা এবং নিউমোনিয়া রোগ প্রায়শই দেখা যায়। কবুতরকে দ্রুত শ্বাস ও প্রশ্বাস নিতে দেখলে এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বুঝতে হবে ঠান্ডা লেগে কবিতরে নিউমোনিয়া হয়েছে।
কবুতরের ঠান্ডা লাগা রোগের চিকিৎসা?
কবুতরের ঠান্ডা লাগা অথবা নিউমোনিয়া রোগে এন্টিবায়টিক ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন, টাইলোসিন টারটেট, সিপ্রোফ্লক্সাসিনের যেকোন একটি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় একজন ভ্যাটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া।
এসপারজিলোসিস রোগ
এই রোগে আক্রান্ত কবুতর থেকে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে সুস্থ কবুতর আক্রান্ত হতে পারে। আর এ ছত্রাকজনিত রোগে মৃত্যুহার শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। এ সময় কবিতরের শ্বাসকষ্ট, ঝিমানো, শুকিয়ে যাওয়া, খাবারের প্রতি অনীহা, ওজন কমে যাওয়া ও ঘন ঘন পিপাসা লাগা ইত্যাদি হতে পারে।
কার্যকরী ছত্রাক বিরোধী ঔষধ যেমনঃ Amphotericine দিয়ে কবিতরের চিকিৎসা করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত কবুতর খামার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে ও খামারের জৈবনিরাপত্তা বলায় জোরদার করতে হবে।
বসন্ত (পক্স ভাইরাস)
কবুতরের আরেকটি বড় রোগ হল বসন্ত রোগ (পক্স ভাইরাস)। আর এ রোগকে কবুতরের গুটি বসন্তও বলা হয়ে থাকে। এটি মোরগ, মুরগি এবং কবুতরের একটি ভাইরাস জনিত রোগ।
সাধারণত কবুতরের শরীরের পালকবিহীন অংশ যেমনঃ চোখ কিংবা মুখের চারিদিক ও পা ইত্যাদি জায়গায় এ রোগের ফোষ্কা বা গুটি দেখতে পাওয়া যায়।
এ সময় আক্রান্ত কবুতরের চোখের পাতা এবং চোখ ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় ও চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। আক্রান্ত কবুতরকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে উৎপন্ন হওয়া ফোষ্কা বা গুটিগুলোকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ বার করে আয়োডিন যৌগ যেমনঃ পভিসেপ বা আয়োসান দিয়ে মুছে দিতে হবে।
কবিতরের গুটি বসন্ত রোগের কোন চিকিৎসা না থাকার কারণে খামারের জৈবনিরাপত্তা রোগ প্রতিরোধ অন্যতম প্রধান উপায়।
বসন্ত (পক্স ভাইরাস) এর লক্ষণ?
- কবুতরের জ্বর হবে।
- এ সময় খাওয়া কমিয়ে দেবে।
- কবুতর ঝিমুনি দিয়ে বসে থাকবে।
- ২ থেকে ৩ দিনের পর চোখের চারপাশে বসন্তের গুটি বের হয়।
- পরবর্তিতে ফেঁটে ঘাঁ তৈরী হয়।
কবুতরের বসন্ত রোগের চিকিৎসা ও ঔষধ?
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কবুতরের বসন্ত রোগ একটি ভাইরাস ঘটিত সংক্রামক রোগ। কবুতরের যত্নই এর আসল চিকিৎসা। বসন্ত রোগের চিকিৎসা সাধারণত ২ ভাবে করতে হয়।
যেমনঃ আক্রান্ত স্থানে পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট কিংবা যেকোন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। এরপর সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা এমক্সাসিলিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। আর জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে।
কবুতরের পক্স ভ্যাকসিন বা বসন্ত রোগের টিকা?
কবুতরের বয়স ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ হলে বসন্ত রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে। পক্স ভ্যাকসিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাওয়া যায়। অথবা মুরগির ফাউল পক্স ভ্যাকসিন বেসরকারী ভাবেও কিনতে পাওয়া যায়।
পোল্ট্রি ফিডের ডিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেসরকারী পক্স ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে সে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োগ করতে পারেন।
সালমোনেলোসিস
সালমোনেলোসিস পোল্ট্রির একটি খুব অতি পরিচিত রোগ। এই রোগ কবুতরের মধ্যেও দেখা যায়। এই রোগে মৃত্যুর হার খুবই কম হয়। তবে এ রোগ উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
এ রোগ আক্রান্ত পিতা মাতা থেকে ডিমের মাধ্যমে ও খাবার, পানি ও খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কর্মরত শ্রমিক এবং আগত অন্যান্য লোকজন, খাদ্য সরবরাহের গাড়ি, বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী যেমনঃ ইদুঁর ইত্যাদির মাধ্যমে খামারে এ সংক্রমক রোগের প্রাদূর্ভাব বেশি ঘটে।
শতকরা ৫ থেকে ৫০ বা তারও বেশী কবুতর সালমোনেলোসিস রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত কবুতরের ডায়রিয়া, শুকিয়ে যাওয়া, পা ও পাখায় প্যারালাইসিস এবং ডিম পাড়ার সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
আর এ সময় আক্রান্ত কবুতর খামার থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত। এ রোগের জন্য কলিস্টিন সালফেট অথবা এমক্সিসিলিন জাতীয় এন্টিবায়টিক ব্যবহার করা যেতে পারে।