বর্তমানে সবাই বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করে। এর ফলে বেশিরভাগ মানুষেরই পেটের সমস্যায় দেখা দেয়। পেটে নানাবিধ সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল পেটে গ্যাস হওয়া। তাই প্রতিটি মানুষকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।
পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ?
পেটে বিভিন্ন কারণে গ্যাস হতে পারে। পেটে গ্যাস হওয়ার অন্যতম কারণ হল বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রতিনিয়ত খাওয়া। যেমনঃ
- অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া
- মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া
- অতিরিক্ত তেলের জিনিস খেলে
- ফাস্টফুড খেলে
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থাকলে
- ধূমপান করলে
- খাবারে পানির পরিমাণ কম থাকা
- বদহজমের সমস্যা থাকলে ইত্যাদি।
পেটে গ্যাস হওয়ার লক্ষণ?
মূলত পেটে গ্যাস হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। তবে লক্ষণ গুলো সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। যেমনঃ
- গলা ও বুক জ্বালা করা
- অনিয়মিত মলত্যাগ হওয়া
- মলত্যাগ করতে সমস্যা হওয়া
- পেটে ব্যথা করা
- পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
কোন ধরনের খাবার খেলে পেটে গ্যাস হয়?
পেটের গ্যাসের সমস্যায় যারা ভুগতে থাকে তারাই বোঝে কতটা যন্ত্রণা দায়ক এই গ্যাস। বর্তমান যে কোন বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ পাওয়া যায় তবে কিছু খাবার গ্রহণের ফলে পেটের গ্যাস হয়ে যায়।
কোন কোন খাবার খেলে পেটে গ্যাস হয় তা জানা থাকলে সেসব খাবার না খাওয়াই ভাল। যেমনঃ
- আঙ্গুর
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া
- ফুলকপি
- ব্রকলি
- মসলা জাতীয় খাবার
- কোল্ড ড্রিংকস
- ডিম
- মিষ্টি কুমড়া
- বাসি খাবার
- মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার
- অস্বাস্থ্যকর খাবার
- ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার
- ডুবো তেলে ভাজা খাবার
- মুলা
- আপেল
- দই
- মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস
- অনিয়মিত খাবার গ্রহন করলে ইত্যাদি।
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার?
কিছু খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পেটের গ্যাস দূর হয়ে পেটকে ঠান্ডা রাখে, সেই সাথে পেটের হজম প্রক্রিয়া সহজভাবে কাজ করে। যেসব খাবার গ্রহণের মাধ্যমে মূলত পেটে গ্যাস দূর হয়ে যায় সেগুলো হলঃ
শসা
শসা মানুষের পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে রয়েছে লেবানয়েড এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটের গ্যাস কমাতে অনেক সাহায্য করে।
পেঁপে
পেঁপে তে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে পেটের গ্যাসের সমস্যা খুবই কম হবে।
কলা ও কমলা
কলা ও কমলা আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ খুবই সহজ।
এছাড়াও কলার ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি করে কলা খেলে পেট সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়।
ঠান্ডা দুধ
পেটের গ্যাস কমাতে ঠান্ডা দুধের কোন তুলনা নেই। পাকস্থলের গ্যাস্ট্রিক এসিডকে এটি নিয়ন্ত্রণ করে এসিডিটি থেকে সহজে মুক্তি দেয়। একজন মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে তার পেটে কখনও এসিডিটি হবে না।
দই
দই মানুষের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এতে করে খাবার দ্রুত হজম হয় যায় এবং পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলাও থাকে না।
পুদিনা পাতার পানি
এক কাপ পানিতে পাঁচটা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে পেট ফাঁপা বমি ভাব কিংবা পেটের গ্যাস খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
জিরা
জিরা আমাদের পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা রক্ত, বিকার ইত্যাদিতে অনেক বেশি উপকার করে থাকে। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভাল করে মিশিয়ে দিনে তিনবার খেলে জ্বর সেরে যায়।
সরষে
পেটের গ্যাস সারাতে সরষে কিংবা সরষে জাতীয় খাবার খুবই কার্যকর একটি উপাদান। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করে খেলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভবনা খুব কম থাকে।
পেটের গ্যাস দূর করার আরো কয়েকটি খাবার হল লাউ, কাঁচা পেঁপে, টমেটো, আনার,স, কলা, তরমুজ, ইত্যাদি।
পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়?
ঘরোয়া উপায়ে যেকোন সমস্যার সমাধান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল পেটের গ্যাস দূর করা। এভাবে ঘরোয়া উপায়ে পেটের গ্যাস দূর করলে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে না। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম জানার পাশাপাশি অবশ্যই ঘরোয়া উপায় সম্পর্কেও জানতে হবে।
গরম পানিতে গোসল করা
শীত হোক বা গরম হোক, গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পেটের সমস্যা খুব সহজেই চলে যায়। গবেষণায় দেখা যায় হালকা গরম পানি পেটের ব্যাথা কমাতে পারে এমনকি দূর করে দিতে পারে গ্যাসের সমস্যা।
এছাড়া পেটে গ্যাস জমতেও দেয় না। গরম পানিতে গোসল করলে অন্ত্রের উপর চাপ কমে এবং অন্ত্র ভাল থাকে।
পানি
সাধারণত পেটে গ্যাস জমলে বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। পানি পেটের পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে, সেই সাথে বদহজমের সমস্যা দূর করে পেটের গ্যাস কমিয়ে দেয়। এজন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই পেট ফাঁপা রোগের সমস্যায় ভুগছে। তাই প্রতিদিন অবশ্যই নিজের খাবারের তালিকায় আরো বেশি বেশি করে ফাইবার যুক্ত করতে হবে।
এক্ষেত্রে খাবারে থাকা ফাইবার পেটের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দিবে। প্রতিদিন মহিলাদের জন্য ২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের জন্য ৩৮ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত।
দারুচিনি
গ্যাসের সমস্যা দূর করতে দারুচিনি অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পেটের ব্যাথা দূর করতেও দারুচিনি অনেক ভাল কাজ করে।
দারুচিনি পানির সঙ্গে ফুটিয়ে সেই পানি কুসুম গরম অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও চা অথবা দুধে দারুচিনি মিশিয়ে পান করা যেতে পারে এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আদা
পেটের গ্যাস এর সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক ভাল একটি প্রাকৃতিক উপাদান হল আদা বা আদার রস। আদা রস পেটের সমস্যা সহজেই দূর করে ফেলে। এছাড়াও এক চামুচ আদা রস এবং হাঁপ কাফ পানি দিয়ে ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আরও ভাল ফল পেতে হলে আদার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি গ্যাসের সমস্যার সঙ্গে বদ হজম সমস্যাও দূর করবে।
খাবার পর ঘুমানো যাবে না
খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়া একদম উচিত নয়, কারণ খাবার হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার
বর্তমানে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে অনেকেই আপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে জানে না। এটি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এজন্য খাওয়ার আগে পানি অথবা চায়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে হবে। এটি নিয়মিত দিনে তিনবার পান করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
ডাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা
যদি পেটে গ্যাস থাকে তাহলে মুসুর, বুট, ছোলা, বিল এবং সয়াবিন ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সুগার এবং ফাইবার যা হজম সহজে হতে চায় না।
এতে করে পেটে গ্যাস ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এভাবে চলতে থাকলে পেট আরও খারাপ হয়ে যাবে এবং পেটে নানান রোগ বাসা বাঁধবে।
তেল জাতীয় খাবার
ডুবো তেলে ভাজা যেকোন ধরনের তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। কারণ তেল শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমাতে সাহায্য করে এবং পেটের হজমের সমস্যা করে। তাই পেটে গ্যাস হলে অবশ্যই তেল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
সবজি
যেসব শাক সবজি সহজে হজম হয় না পেটে গ্যাস হলে সেসব সবজি খাওয়া যাবে না। যেমনঃ ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক ইত্যাদি এই সমস্ত সবজি পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের তৈরি করে।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়?
আপনি যদি ঘরোয়াভাবে কোন ঝামেলা করতে চান না বা আপনার বিরক্ত মনে হয়। তাহলে দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় হিসেবে আপনি দোকান থেকে এক প্যাকেট ইনো ENO কিনে একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ঘরোয়া উপায়?
জিরা পানি
দুই চিমটি কাচা জিরার গুড়া এবং এক কাপ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি শরীরে কোন সাইড ইফেক্ট করা ছাড়াই খুব দ্রুত গ্যাসের সমস্যা কিছুটা হলেও প্রশমিত করে আপনাকে আরাম দিবে।
আদা
গ্যাসের সমস্যা নিরশনে আদা ও বেশ ভাল ভূমিকা রাখে। বেশি সমস্যা দেখা দিলে হালকা একটু কাচা আদা মুখে দিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার ট্রাই করুন। আশা করছি খুবই দ্রুতই কিছুটা আরাম পাবেন।
লবঙ্গ
দুই থেকে তিনটি কাচা লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে সাথে সাথে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। লবঙ্গ গ্যাস নিরাময়ে খুব ভাল ভূমিকা রাখে।
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না?
গ্যাসের সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হল খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করা। যেমনঃ তেলেভাজা, অতিরিক্ত ঝাল কিংবা মশলা জাতিয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
এর বাইরে নির্দিষ্ট সময় খাবার গ্রহন করা বিশেষ করে সকালে কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বল করলেই গ্যাস জীবনের তরে মুক্তি নিবে। চলুন দেখে নেয়া যাক সকালে কি খেলে গ্যাস হবে নাঃ
পানি
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়া ভাল একটি অভ্যাস। নিয়মিত এটি অনুসরণ করলে আশা করা যায় গ্যাসের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।
কলা
আপনারা সকাল বেলা নাশতায় কলা রাখতে পারেন। কেননা কলাতে থাকে পটাশিয়াম যা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই নিয়মিত কলা খেলে গ্যাসের সমস্যা অনেকংশ কমে আসবে।
মৌরি
আপনি যদি সারারাত পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে সে পানি পান করেন তাহলে গ্যাসের সমস্যার পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধির কাজ ও করবে।
পেটের গ্যাস দূর করার ঔষুধ?
বর্তমানে আপনার হাতের কাছে যেগুলো বাজার রয়েছে প্রত্যকটিতে গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়।
তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ গ্রহণ করা একদম উচিত নয়। বাজারে সবচেয়ে ভাল কিছু গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট হলঃ
- ওমেপ্রাজল
- লোসেক্টিল
- রেনিটিডিন
- সার্জেল
- ওপি ২০
- একসিলক ২০
- সেকলো
- এসুটিন ২০
- ল্যান্সোপ্রাজল
- প্যান্টোপ্রাজল
- রেবিপ্রাজল
- এসওমেপ্রাজল
- ম্যাক্সপ্রো ইত্যাদি।
পেট সুস্থ রাখতে করণীয় কি?
পেটকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার এর বিকল্প নেই। খুব বেশি এন্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও আর যেমন রয়েছেঃ
- অতি নিদ্রা
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- শাকসবজি খাওয়া
- বেশি বেশি পানি খাওয়া
- ভিটামিনযুক্ত ফল খাওয়া
- অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট সেবন না করা
- অতি জাগরণ
- এলার্জিজনিত খাবার থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি।
পেটে গ্যাস হলে কি শ্বাসকষ্ট হয়?
সাধারণত পেটে গ্যাস হলে শাসকষ্ট হয় না। কারণ শাসকষ্ট সাধারণত হার্টের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তবে আপনার যদি এজমার সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত গ্যাস হলে কিছুটা শাসকষ্ট হতেও পারে।
পেটের গ্যাস দূর করার বিভিন্ন ব্যায়াম?
পেটের গ্যাস দূর করার জন্য বর্তমানে অনেক ধরনের মাসাজ এবং ব্যায়াম রয়েছে। যার ফলে খুব সহজেই পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে অনেকেই এখনও বিস্তারিত জানে না। পেটের গ্যাস দূর করার ব্যায়াম গুলো হলঃ
পেট মাসাজ করা
পেটে গ্যাস হলে পেটের উপর অল্প একটু তেল দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পেট ম্যাসাজ করলে গ্যাস অন্ত্রের নিচের দিকে চলে আসবে এবং পায়ুদারের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে দিনে বেশ কয়েকবার এই মাসাজ করতে হবে।
পেট মাসাজ করার নিয়ম?
প্রথমে ডান হাতটিকে ডান দিকে বুকের খাঁচার হাড়ের নিচের দিকে ধরতে হবে। এরপর হাত দিয়ে গোল গোল ভাবে মাসাজ করতে হবে। এভাবে কয়েকবার করলে দ্রুত পেটে গ্যাসের সমস্যা কমে যাবে।
হাটা
ব্যায়াম করলে শরীর ভাল থাকে এটা আমরা প্রায় সকলেই জানি। তবে এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে অনেক কার্যকরী কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না।
যদি কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে প্রতিরাতে খাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। এভাবে নিয়মিত হাটা গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতেও অনেক কার্যকরী।
যোগ ব্যায়াম
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যোগ ব্যায়াম পেট ফাঁপা বা পেটের গ্যাসের সমস্যা একদম কমিয়ে দিতে পারে। হাঁটা বা যোগের মতো ব্যায়াম করার ফলে পেটের পেশি সতেজ হয়।
এবং অন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে। এর ফলে খুব সহজেই পেট থেকে গ্যাস বেরিয়ে যেতে পারে। কিছুক্ষণ যোগ ব্যায়াম করার পরপরই আপনার নিজেকে হালকা মনে হবে।