জ্বর আসলে আমাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। তখন কোন কিছু খেতে ভালো লাগে না এবং শরীরের অবস্থা আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় নরমাল ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখা গেল যখন অতিরিক্ত জ্বর হয় তখন আমাদের অনেকের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়।অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের মাধ্যমে আমাদের জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং আমরা পুনরায় সুস্থ হয়ে যায়। তাই যাদের জ্বর এসে থাকে তাদের মধ্যে অনেকেই জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে চান।
আজকের পোষ্টে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম এবং ভালো এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম কি সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম কি?
যখন কোন ব্যক্তির জ্বর খুব বেশি হয়ে যায় তখন ডাক্তার তাদেরকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেন। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় যখন চিকিৎসা দিয়ে ব্যর্থ হয় তখন অনেকেই এন্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন। আর জ্বরের চিকিৎসা এন্টিবায়োটিক খুবই কার্যকরী ঔষধ।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার মাধ্যমে খুব দ্রুত জ্বর প্রতিরোধ করা যায় এবং পুনরায় সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হয়। আমাদের শরীরে যখন ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাস এবং অন্যান্য ভাইরাস আক্রমণ করে থাকে তখন এর জন্য জ্বর এসে থাকে। তখন আমাদের জ্বরের জন্য কার্যকরী চিকিৎসা নেওয়া খুবই দরকার।
আর আপনাদের এটাও জেনে রাখা জরুরি যে এন্টিবায়োটিক কিন্তু সব জ্বরের চিকিৎসা নয়। অর্থাৎ আপনার যদি টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে বা সাধারণ জ্বর এসে থাকে তাহলে আপনি এন্টিবায়োটিক সেবন করে সুস্থ হতে পারবেন।
কিন্তু ডেঙ্গুজ্বরে যদি এন্টিবায়োটিকের চিকিৎসা দেন তাহলে কোনোভাবেই সুস্থ হতে পারবেন না। তাই আপনাদেরকে অবশ্যই আগে এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে তারপর এন্টিবায়োটিক সেবন শুরু করতে হবে।
জ্বর দূর করার এন্টিবায়োটিক ঔষধ?
জ্বরের চিকিৎসায় অনেক ক্ষেত্রেই এন্টিবায়োটিক ঔষধের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহারের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এন্টিবায়োটিক ঔষধ শুধু তখনই ব্যবহার করা হয় যখন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা সম্ভব হয় না।
তখন ডাক্তার রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। বর্তমান সময়ে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার কারণে যদি জ্বর এসে থাকে তাহলে যে সকল এন্টিবায়োটিক গুলো খাওয়া যেতে পারে।যেমনঃ
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন
- এজিথ্রোমাইসিন
- সেফিক্সিম
- সেফট্রিয়াক্সোন
তবে অবশ্যই আপনারা এই সকল এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর সেবন করবেন। তাহলে খুবই গুরুত্ব সময়ের মধ্যে ফল পাবেন।
শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম কি সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তার পরেও যদি কোন বিষয়ে প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।