বর্তমান সময়ে আতংকের আরেক নাম হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। বর্তমানে চারিদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর ঠিক বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ বেড়ে যায়।এমনকি এসময় অনেক মানুষ মারা ও যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। তাই ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবাইকে সতর্ক হয়ে থাকতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর কি?
ডেঙ্গু হচ্ছে একটা মশা বাহিত রোগ। এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে মূলত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এই এডিস মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।
আবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি কোন সাধারণ মশা অর্থাৎ জীবাণুবিহীন মশা কামড়ায় সেই মশাটিও এডিস মশায় পরিনত হয়।
এরপর যদি সেই মশা আরেকজনকে কামড়ায় তাহলে সেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এভাবে একজন থেকে আরেক জনের কাছে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পরে।
ডেঙ্গু জ্বরে কখন আক্রান্ত হয়?
প্রতি বছর মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে বর্ষার সময়টাতেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। কেননা বৃষ্টির স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু বিস্তার করে অনেক বেশি।
আর শীতকালে এই জ্বর দেখা যায়না তবে শীতে লার্ভা অবস্থায় ডেঙ্গু মশা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। বর্ষার শুরুতেই বৃষ্টির পানিতে সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত মশা বিস্তার লাভ করে থাকে।
এডিস মশা কিভাবে চিনবেন?
সাধারণত এডিস মশা অন্যান্য মশা থেকে দেখতে একটু আলাদা হয়ে থাকে। খালি চোখে ভালভাবে একটু লক্ষ্য করলেই যে কেউ এই ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশাকে সহজেই চিনতে পারবেন। এই মশা গুলো মাঝারি আকারের সাদা ও কালো ডোরাকাটা হয়ে থাকে।
এবং এই মশার শুঁড় থাকে লোমযুক্ত।এডিস মশার মাথার পেছনের উপরের দিকেও একটি সাদা দাগ রয়েছে। তাই সাধারণ মশা থেকে খুব সহজেই আলাদা করা যায় এবং চিনা যায় কোনটি ডেঙ্গু মশা।
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি?
এডিস মশা সাধারণত ভদ্র মশা হিসেবে পরিচিত কেননা তাদের জন্ম হয় স্বচ্ছ পানিতে এবং তারা বাস করে সুন্দর সুন্দর ঘরবাড়িতে। এডিস মশা মূলত ডিম পাড়ে স্বচ্ছ ও পরিস্কার পানিতে। মূল কথা হচ্ছে বৃষ্টির স্বচ্ছ পানি কোথাও জমে থাকলে সেই জায়গা থেকে মশার উৎপত্তি হয়।
সাধারণ পানি হোক অথবা বৃষ্টির পানি এসব পানি যেকোন জায়গায় জমতে পারে। বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দার ফুলের টবে, বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন পয়েন্টে বা বাড়ির আশেপাশে কিংবা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা টায়ার।
এবং আর অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। তাই কোথাও যাতে পানি চার থেকে পাঁচদিনের বেশি জমা না থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর কাদের বেশি হয়?
সাধারণত শহর অঞ্চলে এই মশার প্রকোপ বেশি থাকে। বড় বড় দালান কোঠায় বারান্দায় রাখা টবে কিংবা বাসার ছাদে জমে থাকা পানিতে এই মশার বিস্তার বেশি হয়ে থাকে।
তাই শহরাঞ্চলের মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় বেশি থাকে। আর যারা গ্রামে কিংবা বস্তিতে বসবাস করে তারা কম আক্রান্ত হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ?
ডেঙ্গু জ্বর প্রধানত দুই ধরণের হয়ে থাকে। যেমনঃ
- ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার
ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ?
ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সাধারণত তীব্র জ্বর থাকে, এ জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে। শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্যথা হওয়া বিশেষ করে যেমন হাড়, কোমড়, পিঠসহ অস্থি সন্ধি এবং মাংসপেশীতে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।
মাথা ব্যথা এবং চোখের পিছনে ব্যথা হওয়া। অনেক সময় ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে মনে হয় যেন হাড় ভেঙ্গে যাবে। তাই এই জ্বরের আরেক নাম হচ্ছে ব্রেক বোন ফিভার। জ্বর হওয়ার তিন বা চার দিনের সময় সারা শরীরে লালচে গুটি গুটি দানার মত দেখা যায়।
যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ, দেখতে অনেকটা এলার্জি অথবা ঘামাচির মতো। বমি বমি ভাব হওয়া এক পর্যায় বমি হওয়া। এছাড়াও অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ হওয়া। এবং রুচি কমে যাওয়া।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের লক্ষণ?
এই অবস্থাটাই মূলত সবচেয়ে জটিল ও মারাত্মক হয়ে থাকে। এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যেমনঃ
শরীরের বিভিন্ন অংশ হতে রক্ত পড়া শুরু হওয়া। শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্তক্ষরণ অর্থাৎ চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে এবং দাঁত ও মাড়ি হতে, কফের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া।
রক্তবমি, পায়খানার সাথে তাজা রক্ত কিংবা কালো পায়খানা হওয়া। চোখের মধ্যে আর চোখের বাহিরে লালচে হওয়া বা রক্ত জমে যাওয়া। মহিলাদের বেলায় আবার অসময়ে ঋতুস্রাব অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি।
শরিরের বিভিন্ন অংশে পানি ধরা। যেমনঃ বুকে পানি, পায়ে পানি, পেটে পানি আসা। লিভার দুই সেন্টিমিটারের চেয়েও বড় হয়ে যায়, আবার লিভার বা কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম
ডেঙ্গু জ্বরের সবথেকে ভয়াবহ ও মারাত্মক রূপ হচ্ছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের সঙ্গে সার্কুলেটরী ফেইলিউর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। এর লক্ষণগুলো যেমনঃ
- প্রস্রাব কমে যায়।
- হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া।
- শরীরের বিভিন্ন অংশ ও হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
- নাড়ীর স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়।
- হঠাৎ করে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।
- এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে?
ডেঙ্গু জ্বর হলে ডাক্তাররা প্রথম যে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তা হচ্ছে বেশি বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তারমধ্যে নিচে কয়েকটি খাবার এর কথা উল্লেখ করছি যা ডেঙ্গু হলে আপনারা বেশি বেশি খেতে পারেন।
লেবুর সরবত
যদি কারো ডেঙ্গু হয় তাহলে তাকে বেশি বেশি লেবুর সরবত খেতে হবে। কেননা লেবুতে থাকে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড যা দ্রুত ডেঙ্গু জ্বর কমাতে দারুণ সহায়তা করে।
কমলা বা কমলার জুস
কমলা ও কমলার জুস ডেঙ্গু জ্বরের জন্য খুবই উপকারি। কারণ কমলাতে থাকে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিওক্সিডেন্ট উপাদান। যা ডেঙ্গু জ্বর উপশমে বেশ ভাল কাজ করে থাকে।
খাবার স্যালাইন
তরল পদার্থের শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে আপনারা বেশি বেশি খাবার স্যালাইন খেতে পারেন।
ডালিম
ডেঙ্গু হলে রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা কমে যায় যার জন্য মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমানে ডালিম খেতে পারেন।
কারণ ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পরিমাণ মতো মিনারেল যা খেলে রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা বেড়ে যাবে।
ডাবের পানি
ডেঙ্গু জ্বর হলে সব থেকে বেশি দরকার হয় ডাবের পানি। কারণ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরে তরল পদার্থের শূন্যতা সৃষ্টি হতে থাকে। যার ফলে ডাক্তাররা বেশি বেশি ডাবের পানি খেতে বারবার করে বলে থাকেন।
বিভিন্ন ফলের জুস
এগুলো ছাড়াও আপনি তরল পদার্থ হিসেবে একটু পর পর যেকোন ফলের জুস খেতে পারেন। পাশাপাশি আপনি পেঁপে পাতার রস, দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে, মেথি, ব্রুকলি ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে শরীরে জ্বর কমাতে এবং রক্তের প্লাটিলেট বৃদ্ধি হতে বেশ সহায়তা করে।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় যে খাবারগুলো খাওয়া যাবে না?
তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার
তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। চিকিৎসকগণ সবসময় অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার খেতে নিষেধ করেন।
আর তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই তৈলাক্ত ও ভাজা খাবরগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এই খাবারগুলো খেলে তখন আপনার আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
মসলাযুক্ত খাবার
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে মসলাযুক্ত খাবারগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। এই ধরণের খাবারগুলো বেশি করে খেলে পাকস্থলীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়
ডেঙ্গু হলে ডাক্তাররা তরল খাবার বেশি করে খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই তরল জাতীয় খাবার খেলে ও ক্যাফিনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময় এসমস্ত খাবার রোগীর হার্ট রেট বাড়িয়ে দিতে পারে।
শক্ত জাতীয় খাবার
যেকোন শক্ত জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এই সময় শুধুমাত্র তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে যা করণীয়?
রুগী সম্পূর্ণ ভাল না হওয়া পর্যন্ত রুগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। সবসময় পানি, ডাবের পানি, শরবত ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে সমস্যা বৃদ্ধি না পায়। রুগী যদি একদম খেতে না পারে প্রয়োজন হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।
জ্বর কমানোর জন্য অতিরিক্ত কোন ঔষুধ খাওয়ার দরকার নেই শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথার ঔষুধই যথেষ্ট। এসপিরিন কিংবা ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথার ঔষুধ ভুলেও খাওয়া যাবে না। এতে রুগীর রক্তক্ষরণের মারাত্মক ঝুঁকি বাড়বে। জ্বর কমানোর জন্য একটু পর পর ভেজা কাপড় দিয়ে রুগীর গা মোছাতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার বা আমাদের করণীয়?
যেহেতু ডেঙ্গু হচ্ছে একটি মশা বাহিত রোগ তাই মশার কামড় থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারলেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এজন্য আমাদের যা যা করতে হবে।
যেমনঃ সব সময় বাড়ির আশে পাশে সকল জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে। বাড়ির আশে পাশে ছাদে বা বারান্দায় কিংবা টবে কোথায় যেন পানি তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন।
দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় একটু কষ্ট হলেও দিনের বেলায় ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
মশা নিধনের কয়েল, স্প্রে, ম্যাট ব্যবহারের সঙ্গে মশারি ও ব্যবহর করুন। কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে অবশ্যই সবসময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে। যাতে করে কোন মশা কামড়াতে না পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
মূলত ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট করে কোন চিকিৎসা নেই। তবে এই জ্বর নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায় একটু নিয়ম মেনে চললেই। তাই বলছি উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট।
তবে মনে রাখবেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি রোগীর অবস্থা মারাত্মক হয় তাহলে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়াই ভাল। যেমনঃ
- প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।
- হঠাৎ শরীরের কোন অংশ থেকে রক্তপাত দেখা দিলে।
- প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে অথবা প্রস্রাব না হলে।
- হঠাৎ শরীরের প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে গেলে এবং পানি আসলে।
- ডেঙ্গু জ্বরে যদি জন্ডিস দেখা দেয়।
- শরির অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।
ডেঙ্গু টেস্ট কি কি?
এনএস ওয়ান
এই টেস্ট করা হয় সাধারণত দ্রুত বুঝার জন্য।
ব্লাড টেস্ট
ডেঙ্গু হলে রুগীর প্রথমে ব্লাড টেস্ট করতে হয়। যার মাধ্যমে রক্তে ডাব্লিইউ বিসি ও প্লাটিলেট সংখ্যা বাড়ছে নাকি কমছে তা সঠিকভাবে জানার জন্য।
র্যাপিড টেস্ট
এই টেস্ট করা হলে ডাক্তাররা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারে তার ডেঙ্গু হয়েছে কি না।
ডেঙ্গু কি ছোঁয়াচে রোগ?
ডেঙ্গু অবশ্য ছোঁয়াচে রোগ নয়। বা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে কিংবা এক বিছানায় ঘুমালে অথবা তার ব্যবহৃত কিছু ব্যবহার করলে ও ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভবনা নেই।
তবে কোন মশা যদি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রুগী কে কামড়িয়ে এরপর আবার সুস্থ কোন ব্যাক্তি কে কামড়ায় তাহলে তার ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে।
মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয়?
সাধারণত এডিস মশা কামড়ানোর তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এডিস মশা কখন কামড়ায়?
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। এই মশা মূলত রাতের বেলা বা অন্ধকারে কামড়ায় না। এই মশা দিনের বেলায় সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে তৎপর হয়ে উঠে। এবং ওই সময়ে তারা কামড়ায় বেশি। এজন্য অবশ্যই ওই সময়ে আমাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা?
ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণত কোন চিকিৎসা নেই। মূলত আক্রান্ত রোগী পাচঁ থেকে দশ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায়।
তবে রুগীর অবস্থা মারাত্মক হলে দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। এ রোগে মূলত লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়।