আইবিএস রোগীর খাদ্য তালিকা

কেমন হওয়া উচিত এই বিষয়ে অবশ্যই জানতে হবে। জীবন প্রণালীতে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই আইবিএস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আইবিএস রোগ হলে রোগীর পেটের নিচের দিকে মাঝে মাঝে ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে।আইবিএস রোগীর খাদ্য তালিকাতাছাড়া এর ফলে মলত্যাগের অভ্যাস ও ধরন পরিবর্তিত হয়ে থাকে।এর ফলে কখনো কখনো ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া পেট ফাঁপা, পেট ভারবোধ,ও অন্যান্য সমস্যা লেগেই থাকে।

অনেক ডাক্তার আই বি এস রোগের জন্য মানসিক চাপকে দায়ী করে থাকেন। আইবিএস রোগের খাদ্য তালিকা নির্ধারণের মাধ্যমে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

আইবিএস রোগীর খাদ্য তালিকা?

আইবিএস রোগীর খাদ্য তালিকা নির্ধারণ করা খুবই জরুরী। কেননা সঠিক খাদ্য তালিকার মাধ্যমে অনেক রোগী এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

যেহেতু আইবিএস রোগের নির্দিষ্ট কোন খাদ্য তালিকা নেই তাই সর্বপ্রথম রোগীকে চিহ্নিত করতে হবে কোন ধরনের খাবারে তাদের সমস্যা হচ্ছে। সেই খাবার গুলো বাদ দিতে হবে ও রোগীকে শক্ত ও ভাজা খাবার না খেয়ে আশযুক্ত খাবার খেতে হবে।

অনেক রোগীর দুধে সমস্যা হয়ে থাকে। তারা দুধ খেলে পেটের সমস্যা শুরু হয় তাই তারা চাইলে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। তাছাড়া এই সময়টাতে সোয়া মিল্ক ও সয়াবিনের তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে।

তাছাড়া নারিকেল তেল আইবিএস রোগীদের জন্য দারুন একটি খাবার হতে পারে। নারিকেল তেল দিয়ে রান্না অথবা প্রতিদিন খালি পেটে দুই চা চামচ নারিকেল তেল খেলে অনেক ভালো থাকা যায়।

কেননা নারিকেল তেল অন্ত্রের প্রদাহ প্রশমিত করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া আইবিএস রোগীদের আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে ভালো থাকার জন্যঃ

  • আঁশবিহীন সবজি ও ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে ও পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
  • ভাত ও চালের রুটি খেতে হবে।
  • আলু ও নুডুলস খেতে হবে।
  • কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • চা কফি খাওয়া একেবারে কম করে দিতে হবে।
  • অতিরিক্ত চর্বি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া পরিত্রাণ করতে হবে।
  • কখনো বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।
  • সালাদ,ড্রেসিং, মেয়োনেজ ও পনির বাদ দিতে হবে।
  • প্রোবাইটিক হিসাবে দই খেতে হবে।
  • প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • কাঁচা রসুন, পেঁয়াজ, শসা ও ঝাল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
  • আ্যালকোহল ও কোমল পানীয় খাওয়া বাদ দিতে হবে।

প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না এতে করে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আই বিএস রোগীরা অবশ্যই যে খাবারগুলো খেতে বলা হয়েছে সেগুলো খাবেন ও কিছু খাবার বাদ দিবেন তাহলে সমস্যাটা অনেকটা কমে আসবে।

শেষকথা, আশা করি ইতিমধ্যে আইবিএস রোগীর খাবার তালিকা বা আইবিএস রোগীরা কি খাবার খেতে পারবে ও কোন খাবার খেতে পারবে না এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

উপরে যে খাদ্য তালিকা দেওয়া হয়েছে এই সকল খাবারগুলো অনেক পুষ্টিবিদ আইবিএস রোগীদের খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

Sharing Is Caring:

This website mainly provides information on exercise, fitness, wellness, healthy living, etc. in the Bengali language.

Leave a Comment