হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ ও প্রতিকার | হেপাটাইটিস বি এর ঘরোয়া চিকিৎসা

হেপাটাইটিস বি হল একটি ভাইরাস সংক্রমণ রোগ। যা লিভার বা যকৃত কে আক্রমন করে থাকে। ইহা মানব দেহে ইনফেকশন করতে পারে। হেপাটাইটিস নিয়ে প্রায়শই টিভিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাড দেয়া হয়।

কিন্তু এটি কীভাবে রোগের সৃষ্টি করে, ইহা কতটা ক্ষতিকর, কিভাবে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে তা নিয়ে সকলের কৌতূহলের শেষ নেই। শিশুদের মধ্যে এই রোগ আরও বেশি হতে দেখা যায়।হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ ও প্রতিকারখুবই জরুরী এই বিষয় নিয়ে জানার আগে আপনাদের একটা কথা বলে রাখি, তা হচ্ছে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস বি ভাইরাস থেকেও বেশি বিপদজনক হয়। বিপদজনক এই কারণে যে এর কোন ভ্যাক্সিন এখনো বের হয়নি।

এটি  বি এর তুলনায় বেশি chronic বা দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ করে থাকে। তাই এর প্রতিকারের উপায়গুলো প্রতিরোধ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দুটি ভাইরাসই একই উপায়ে সংক্রমিত হয়।

তাই হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ব্যাপারে আলোচনার সময় কারণগুলোর দিকে খেয়াল রাখবেন। তবে এ রোগ প্রথম পর্যায়ে শনাক্ত হলে, সেক্ষেত্রে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব।

এছাড়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে বিস্তারিত।

হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ?

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণ করলে এর প্রাথমিক কিছু লক্ষণ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ভাইরাস আক্রমণ করলে হালকা বমি বমি ভাব হয়ে থাকে, ত্বক হলুদ হয়ে যায়, এছাড়া প্রসাব হলুদ হয়।

এসব লক্ষণ যদি এক সপ্তাহের ও বেশি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এ রোগের লক্ষণ পেতে ৩০ থেকে ১৮০ দিন সময় লাগতে পারে।

দীর্ঘ দিন হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হলে, এটা যকৃত বা সিরোসিস ক্যান্সার এ রূপ নিতে পারে। যা রোগীকে ১৫ থেকে ২৫% মৃত্যুবরণের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

হেপাটাইটিস বি কিভাবে ছড়ায়?

হেপাটাইটিস-বি আমাদের দেশে যেভাবে ছড়ায় তার প্রধান মাধ্যম হলো সিরিঞ্জ এর মাধ্যমে মাদক নেওয়া, কারণ যারা মাদকাসক্ত তারা একই সিরিঞ্জ নিয়ে বেশ কয়েক জন মাদক গ্রহণ করে থাকে।

এছাড়াও হেপাটাইটিস বি বাবা মার থাকলে হতে পারে। হেপাটাইটিস বি আক্রান্তকারীর রক্ত নিলে, অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যারা ট্যাটু আর্টিস্ট তাদের কাছে থেকে ট্যাটু তৈরি করলে হেপাটাইটিস বি তে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।

এর অন্যতম কারণ হল ট্যাটু আর্টিস্টরা একই সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রত্যেকেরই ট্যাটু তৈরি করতে। উপরের এ সকল মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি এর ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে।

আর যে সকল মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ছড়াই না সেগুলো হল একই সাথে চলাফেরা করলে, খাবার খেলে, কোলাকুলি করলে এবং হাঁচি কাঁশি দিলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ছড়ায় না।

হেপাটাইটিস বি নির্ণয়ের উপায়?

মানুষের রক্তে হেপাটাইটিস বি সার্ফেস এন্টিজেন, হেপাটাইটিস বি আই.জি.এম কোর এন্টিজেন, হেপাটাইটিস ই এন্টিজেন, পাশাপশি যকৃতের এনজাইমের আধিক্য থেকে বুঝা যায় যে, একজন ব্যক্তি হেপাটাইটিস বি এ acute infection এ আক্রান্ত কি না?

আর chronic infection আছে না কি জানতে হলে হেপাটাইটিস বি আই.জি.জি কোর এন্টিজেন, যকৃতের এনজাইম, সার্ফেস এন্টিজেন ও ই-এন্টিজেন রক্তে আছে না কি তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

প্রতিকার

হেপাটাইটিস বি এর আলাদাভাবে কোন চিকিৎসা নেই। তবে এর প্রতিরোধই প্রধান আর লক্ষণ অনুযায়ী আপনাকে চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রতি বছর হেপাটাইটিসের সংক্রমণে লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।

WHO এর একটি রিপোর্টে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের মোট জনগণের প্রায় ৫ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদী হেপাটাইটিসের বাহক ও এই ৫ শতাংশ মানুষের ২০ শতাংশের যকৃতের ক্যান্সার এবং যকৃত অকেজো হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

আর তাই আজই এর ভ্যাক্সিন নিন। পরিবারের সবাইকে নিতে বলুন। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে অনেক বড় ধরনের বিপদ ঠেকানো সম্ভব। সচেতন হন, ও রোগ প্রতিরোধ করুন।

হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা?

বর্তমান বাজারে হেপাটাইটিস বি এর কার্যকরী অনেক ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করলে এটা নিরাময় করা সম্ভব। তবে হেপাটাইটি বি এর শতভাগ চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি।

তবে এটা নিরাময়ের জন্য বাজারে অনেক ধরনের ওষুধ এসেছে। যেগুলো খেলে এ রোগ নিরাময় করা যায়। আবার অনেকের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস এর কোন চিকিৎসা নেই।

আসলে এই ধারণাটি সবার ভুল। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নির্মূলের বর্তমান বাজারে অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে।

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয়?

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস হলে আপনার জন্ডিস হবে, অবসাদ গ্রস্ততা লাগবে, পেটে অস্তসি বোধ হবে। হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে যত দ্রুত সম্ভব সাথে পরামর্শ করতে হবে। সর্বপ্রথম হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পরীক্ষা করতে হবে।

ফলে আপনার লিভার ভাল থাকবে, লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাই আপনার হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে প্রথম কাজ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

হেপাটাইটিস বি এর ঔষধ?

হেপাটাইটিস বি এর একটি ট্যাবলেটের নাম হল (Entavir 0.5mg)। যা একটি এন্টিভাইরাস। এটা দিনে একবার খেতে হয়। যা খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পর। তবে এই ট্যাবলেটের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

যা আপনাকে ক্লান্তি, ঘুম, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এছাড়া এলার্জি সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি অধিক পরিমাণে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন।

হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন?

হেপাটাইটিস বি কে প্রতিরোধ করার জন্য টিকা রয়েছে। একটা বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার পরপরই ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটা দেয়া হয়ে থাকে। হেপাটাইটিস বি এর টিকা মোট তিনটা দেয়া হয়। বাকি দুইটা ভ্যাকসিন পরবর্তীতে দেওয়া হয়।

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না, শুধুমাত্র যে স্থানে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ওই স্থানে ব্যথা হতে পারে।

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন এর দাম কত?

হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন মৌলিক স্বাস্থ্য চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।এটি সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাকসিন। ২০১৪ সালে এর পাইকারি মূল্য ছিল ০.৫৮ থেকে ১৩.২০ মার্কিন ডলার।

বাচ্চাদের জন্য হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন সরকার থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বাচ্চা জন্ম গ্রহণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ টিকা দেওয়া হয়।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নেগেটিভ করার উপায়?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস নেগেটিভ করার প্রধান উপায় হল সকল মানুষকে এ টিকা দান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা। এবং সবাইকে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। হেপাটাইটিস যেন না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আর যদি কোন ব্যক্তি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে তাকে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ওষুধ খেতে হবে।

হেপাটাইট বি ভাইরাস রোগীর খাবার?

হেপাটাইস বি রোগের ক্ষেত্রে অবশ্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস করতে হবে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ শাক সবজি খাওয়াই উত্তম। এ জাতীয় খাবারের রয়েছে ফাইবার ফোটেল,ভিটামিন এ, সি,বি৬ ও পটাশিয়াম।

এক্ষেত্রে আরও খেতে পারেন ব্রকোলি, পালংশাক, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কলা, খেজুর ও দই ইত্যাদি।

হেপাটাইটিস বি হলে কি বিয়ে করা যায়?

হেপাটাইটিস বি হল মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি। ইহা একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহে প্রবেশ করে থাকে। আর তাই যখন কোন একজন ব্যক্তি হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত হয়, তখন তাকে আলাদা একটি কক্ষে রাখা হয়।

আমাদের মধ্যে অনেকের এই বিষয়টি নিয়ে অনেক দোটানা রয়েছে যে হেপাটাইটিস বি রোগ হলে কি বিয়ে করা যায় কি না। যেহেতু হেপাটাইটিস বি একটি মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি।

আর তাই আপনার যদি হেপাটাইটিস রোগ ধরা পড়ে, তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনি বিয়ে করতে পারবেন না। কারণ হল আপনি যখন আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করবেন। তখন আপনার হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আক্রমণ করার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি রয়েছে।

এখন আপনি বলবেন আমি তো হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেছি। টিকা গ্রহণ করলে ভাইরাস ছড়ায় না এটা ঠিক কথা। কিন্তু সব সময় ভাইরাসের পাশে থাকলে তা আপনার টিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ পেতে পারে।

অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী তো কখনো পৃথক থাকতে পারবে না, তারা সব সময় এক সঙ্গে থাকবে। তাই এই ভাইরাস আক্রমণ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এক সময় দেখা যাবে আপনার প্রতিরক্ষা ভেঙ্গে দিয়ে এ ভাইরাস আক্রমন করতে পারে।

বিজ্ঞান ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সব সময় এই কথাগুলো বলে থাকে। যেহেতু আপনি বিয়ে করবেন। বিয়ের পর এক সাথে স্বামী ও স্ত্রীর সাথে চলাফেরা করতে হয়। তখন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নিজেকে পাল্টিয়ে শক্ত হবার অনেক সময় পাবে।

তারপরে দেখা যাবে আপনাদের দুজনকেই খুবই শক্তভাবে আক্রমণ করতে পারে। এছাড়াও সব থেকে বড় বিষয়টা হল আপনাদের অনাগত সন্তানের মধ্যেও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। আর তাই আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য  হল ভাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ হওয়া।

তারপর বিয়ে করে ২ জন একত্রে বসবাস করা। তবে আমি আপনাকে বিয়ে করতে কখনোই মানা করব না। কারণ বিয়ে থেকে আপনাকে পিছিয়ে দেওয়া আমাদের আসল দায়িত্বের ভেতর পড়ে না।

কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির উপরে ভিত্তি করে আপনাকে একটু সময়ের জন্য হলেও বিয়ে থেকে বিরত থাকার কথা বলেছি। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যদি আপনাদের ২ জনকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করতে বলে।

তাহলে টিকা গ্রহণ করার পরে, দুজনে বিয়ে করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সম্মতি থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলে আমরা মনে করি না।

হেপাটাইটিস বি এর ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি?

বর্তমান সময় সব থেকে মারাত্মক ভাইরাস হচ্ছে হেপাটাইটিস বি। এটা দূরত্ব সংক্রমণ ঘটছে যা মানবজাতির জন্য হুমকি স্বরূপ। আমরা চাইলে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। যেহেতু এটা সংক্রমণ রোগ। এটার বিস্তার আমরা রোধ করতে পারি।

আমরা একটু সচেতন হলে থেকে আমরা হেপাটাইটিস বি থেকে মুক্তি পেতে পারি। হেপাটাইটিস বি ঘোরয়া চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। নিচে কয়েকটি ধাপ এ দেখানো হলোঃ

ধাপ: ১

আপেল সিডার ভিনিগার প্রতিনিয়িত সেবন এর মাধ্যমে আপনি লিভার থেকে চর্বি মুক্ত করতে পারেন।  কাপ গরম পানিতে কয়েক ফোটা আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে  খাবার আগে পান করুন। এক মাস নিয়মিত পান করুন।

ধাপ: ২

আদাপানি নিয়মিত পান করলে লিভারে চর্বি জমার প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাই। এক চা চামচ আদা গুঁড়া গরম পানিতে মিশিয়ে দিন দুইবার পান করবেন।এই পানীয় একটানা ১৫ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পেতে পারেন।

ধাপ: ৩

লেবুপানি প্রতিদিন সেবন করুন। লেবুতে প্রচুর পরিমানের ভিটামিন সি রয়েছে, যা লিভারকে দূষণমূক্ত করতে সহায়তা করে।

ধাপ: ৪

গ্রীন টি নিয়মিত পান করলে, লিভার ফাংশন ঠিক রাখে। সকাল বিকাল গ্রীন টি পান করার অভ্যাস করুন।

হেপাটাইটিস বি এর টেস্ট?

হেপাটাইটিস বি ভা‌ইরাস পজিটিভ কি না তার জন্য আপনাকে অবশ্যই টেস্ট করতে হবে। মূলত HBV, DNA এবং HCB RNA দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি টেস্ট করা হয়।

হেপাটাইটিস বি এর টেস্ট খরচ?

হেপাটাইটিস বি ভা‌ইরাস পজিটিভ কি না তার জন্য আপনাকে অবশ্যই টেস্ট করতে হবে। মূলত HBV, DNA ও HCB, RNA দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি টেস্ট করা হয়।

তবে সরকারি হাসপাতালে টেস্ট করলে সেক্ষেত্রে খরচ প্রায় আট হাজার টাকা আসবে। আবার বেসরকারি হাসপাতালে টেস্ট করলে খরচ পড়বে প্রায় পনেরো হাজার টাকা।

হেপাটাইটিস বি কি ছোঁয়াচে রোগ?

হেপাটাইটিস বি হল একটি ছোঁয়াচে রোগ। সাধারণত একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহে এ ভাইরাস আক্রমণ করে থাকে। মূলত দুইভাবে একজন ব্যক্তি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমিত হতে পারে।

হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তিকে রক্ত প্রদান করলে কিংবা হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে রক্ত গ্রহণ করলে। এছাড়াও এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলন করার মাধ্যমে এর সংক্রমণ হতে পারে।

তবে স্বামীর যদি হেপাটাইটিস ভাইরাস থাকে, তাহলে স্ত্রীর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও গর্ভবতী মা যদি এ ভাইরাসে সংক্রমিত থাকে, তাহলে তার নবজাতক সন্তানের হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।

তাই বলা যেতে পারে হেপাটাইটিস বি একটি ছোঁয়াচে রোগ। যা একজনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহে খুব সহজে সংক্রমিত বা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আমাদের শেষ কথা

উপর পোস্ট করে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা সম্পর্কে, সম্পর্কে আপনাদের সাথে কে থাকে অবশ্য আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আশা করি আপনাদের সঠিক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

Sharing Is Caring:

This website mainly provides information on exercise, fitness, wellness, healthy living, etc. in the Bengali language.

Leave a Comment