প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

নতুন চুল গজানোর উপায় বা নতুন চুল কিভাবে গজাবে বর্তমান সময়ে এই নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। যত সময় যাচ্ছে তত টাক পড়ার সমস্যাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়আর মধ্যবয়সী থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এই সমস্যাটার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই যারা চুল পড়ার সমস্যা হয়ে রয়েছেন। এবং নতুন চুল গজানোর উপায় খুঁজছেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আজকের প্রশ্নের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে কিভাবে খুব সহজেই বা অল্প সময়ের মধ্যে নতুন চুল গজাবেন।

চুল পড়ার কারণ?

নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানার আগে চুল কেন পড়ে বা চুল পড়ার কারণ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি চুল পড়ার কারণ বাকি কারণে আপনার চুল পড়ছে সেটা বের করতে না পারেন তাহলে কোনভাবেই এই সমস্যাটা থেকে পরিত্রান পাবেন না।

চুল পড়ার কারণ গুলোর মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ, নিম্নমানের জীবনযাত্রা, সুষম খাদ্যের অভাব, অপর্যাপ্ত ঘুম এগুলো হতে পারে।

তাছাড়া সব থেকে গুরুতর যে সমস্যাটার কারণে চুল পড়ে থাকে সেটি হচ্ছে হরমোনের সমস্যা।তাছাড়া অ্যানিমিয়া, জন্ডিস এবং কিছু রোগের কারণে অতিরিক্ত হারে চুল পড়ে থাকে।

তাই সর্বপ্রথম আগে শনাক্ত করতে হবে কী কারণে আপনার চুল পড়ছে আপনার শরীরের কোন ধরনের রোগ রয়েছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

যদি কোন ধরনের রোগ ছাড়া শুধুমাত্র অযত্নের কারণে আপনার চুল পড়ে টাকের সমস্যার তৈরি হয়ে থাকে এবং আপনার স্ক্যালপের স্বাস্থ্য যদি ঠিক থাকে থাকে তাহলে খুব দ্রুতই আপনার মাথায় আবার নতুন চুল গজানো শুরু হবে।

নতুন চুল গজানোর জন্য আপনারা যে পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করবেন বা কিভাবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চুল ঘন করবেন সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

নতুন চুল গজানোর উপায়?

চুল পড়বে আবার নতুন করে গজাবে এটা সাধারণত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ১৭০-১৮০ একটি পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক।

এর থেকে যখন বেশি পরিমাণে চুল পড়বে তখনই এটা বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াবে। চুল পড়ার সমস্যা খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। চুল পড়তে পড়তে অনেকের মাথায় টাক দেখা যায়।

তখন তার নতুন চুল গজানোর উপায় খুঁজে থাকেন। আমি উপরে বলেছি চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে। অর্থাৎ আপনাকে যদি নতুন চুল গজাতে হয় তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম চুল পড়া বন্ধ করাতে হবে।

নিচের নতুন চুল গজানোর কয়েকটি ঘরোয়া প্যাক দেওয়া হল যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা নতুন চুল গজাতে পারবেন।

১. ক্যাস্টর অয়েল এবং ভিটামিন ই এর প্যাক

ক্যাস্টর অয়েল এবং ভিটামিন এর নতুন চুল গজাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই, মিনারেলস, প্রোটিন এবং ফ্যাটি এসিড যা সাধারণত চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।

তাছাড়া এর সাথে আপনি যখন ভিটামিন ই ক্যাপ ভিটামিন ই এর তেল মিশাবেন তখন এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই প্রথমে একটি পাত্রে দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে নিতে হবে।

এই প্যাকটির সাথে চাইলে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপরে সুন্দর করে মিক্স করে নিতে হবে। মিক্স করা হয়ে গেলে এটি সারা মাথায় সুন্দর ভাবে লাগাতে হবে এবং ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।

যদি স্কাল্পে মেসেজ করতে পারেন সরাসরি তাহলে খুবই ভালো হয়। তারপরে ঠান্ডা এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। নতুন চুল গজানোর জন্য আপনারা সপ্তাহের দুইবার এই প্যাক টি ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত এক মাস ব্যবহার করলে রেজাল্টটা দেখতে পারবেন।

২. পেঁয়াজের রস এবং ক্যাস্টর অয়েল

পেঁয়াজের রসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার যা সাধারণত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে । তাছাড়া পেঁয়াজের রস চুল পড়া রোধ করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

পেঁয়াজের রসের সাথে যখন ক্যাস্টর অয়েল মেশানো হয় তখন এর কার্যকারিতা আরো কয়েক গুন বেড়ে যায়। প্রথমে একটি পেঁয়াজ নিয়ে ব্লেড করে পেঁয়াজের রস একটি পাত্রে রাখবেন।

তারপরে পেঁয়াজের রসের সাথে দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে দিবেন। অবশ্যই উপাদান দুটি সুন্দর করে মিক্স করে দিতে হবে। তারপরে সুন্দর করে মাথার চুলে মাসাজ করতে হবে।

এইভাবে চুলে আপনারা এই তেলটি ৩০ মিনিট রেখে দিতে পারেন। দ্রুত নতুন চুল গজাতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতেন এই প্যাকটি কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

নতুন চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে?

নতুন চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে এই নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। যদি দীর্ঘমেয়াদি কোন রোগের কারণে চুল না পড়েন তাহলে নতুন চুল খুব দ্রুতই গজিয়ে থাকে।

দেখুন এখনকার বেশিরভাগ লোকেরই চুল পড়ে থাকে এবং টাক পড়ার সমস্যাটা দেখা দিয়ে থাকে শুধুমাত্র অনিয়ন্ত্রিত জীবন অভ্যাসের কারণে।

রাত জেগে মোবাইল চালানো, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান করা, সুষম খাদ্য না খাওয়া এই সকল কারণে নতুন চুল পড়ে থাকে।

তাই সর্বপ্রথম আপনাকে এই সকল অভ্যাসগুলো নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ জীবনযাপন করা শুরু করতে হবে এবং প্রোটিন ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

আর নতুন চুল গজানোর জন্য ঘুম খুবই জরুরী তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার চুলের স্বাস্থ্য ফিরতে শুরু করেছে।

নতুন চুল গজাতে সরিষার তেল?

সরিষার তেল ব্যবহারে কখনোই নতুন চুল গজায় না কিন্তু চুলে তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হয়। তাই যারা অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা নিয়মিত চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

তাহলে দেখবেন খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য সরিষার তেল আশ্চর্য টনিক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

শেষ কথা, আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা নতুন চুল গজানোর উপায় বা কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন চুল গজানো যায় সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

আপনাদের কিছু অভ্যাসই পারে চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতে তাই উক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন।

Sharing Is Caring:

This website mainly provides information on exercise, fitness, wellness, healthy living, etc. in the Bengali language.

Leave a Comment