যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন তাদেরকে ওজন কমানোর খাবার তালিকা বা ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট দেখাবো। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন।যারা ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা বা ওজন কমানোর জন্য কি রকম খাবার খাওয়া উচিত। এই বিষয় নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা আজকের পোস্ট থেকে সঠিক ধারণা পাবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাকঃ
ওজন কমানোর খাবার তালিকা?
আমাদের শরীরের ওজন যদি অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় তাহলে আমরা অনেক চিন্তায় পড়ে থাকি। ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি কিছু খাবার খাওয়া জরুরি। কেননা আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য একেবারে পুষ্টিকর খাবার না খান তাহলে আপনার শরীর পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারে।
নিচে ওজন কমানোর খাবার বা খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে আপনাদের পরিপূর্ণ কিছু ধারণা দেওয়া হলোঃ
ওজন কমানোর জন্য সকালের খাবার?
সকালের খাবারের দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুইটা আটার রুটি রাখতে পারেন, এক বাটি সিদ্ধ সবজি রাখতে পারেন এবং একবাটি কাঁচা শসা রাখতে পারেন। এই উপাদানগুলো ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
ওজন কমানোর জন্য দুপুরের খাবার?
ওজন কমানোর জন্য দুপুরের খাবারের দিকে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। দুপুরের খাবারে রাখবেন ৫০-৭০ গ্রাম চালের ভাত। মাছ এবং মুরগির ঝোল রাখতে পারেন এক বাটি। একবারটি সবজির সাথে শাক, শসার সালাত এবং এক বাটি ডাল এর সাথে ২৫০ গ্রাম টক দই রাখতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য বিকালের খাবার?
বিকালে তেমন বেশি বা ভারী খাবার খাওয়া যাবেনা যদি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চান। বিকালে আপনারা দুধ ছাড়া চা, মুড়ি বা বিস্কুট জাতীয় কিছু খেতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবার?
ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরী। রাতের খাবারে আপনারা আটার রুটি দুইটা রাখতে পারেন, একবাটি সবুজ তরকারির সাথে এক বাটি ডাল এবং একবাটি সালাদ রাখতে পারেন।
ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট?
আমরা যদি প্রতিদিন দৈনিক ১ গ্রাম করে প্রোটিন গ্রহণ করে তাহলে কিন্তু শরীরে প্রোটিনের কোন ঘাটতি থাকে না। চাঁদের ওজন ৬০ কেজি তাদেরশরীরের ৬০ গ্রাম প্রোটিন হলেই সব থেকে ভালো হয়। আপনারা প্রতি মাসে একদিন করে ওজন মাপবেন।
এবং এখান থেকে দেখতে পারবেন ওজন বাড়ার হার কম বেশি হচ্ছে কিনা। যাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি হয় সেটা কিন্তু বড় একটি অসুখের লক্ষণ হতে পারে। কেননা অতিরিক্ত মেদ বা অতিরিক্ত ভুড়ি হওয়া কখনো সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ হতে পারে না।
ওজন কমানোর জন্য যখন ডায়েট করা হবে, তখন অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, মিষ্টি জাতীয় পানীয়, মধুনবা সিরাপ জাতীয় খাবার এর সকল খাবার গুলো থেকে বিরত থাকবেন।
তাছাড়া এই সময় আরো খাবার যেমনঃ ডাল, শাকসবজি, ঢেঁকিছাটা চাল, টক ফল ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। তাছাড়া শিম জাতীয় সবজি, টমেটো, গাজর, মসুর ডাল এবং বাদাম জাতীয় খাবার খেতে হবে। তাছাড়া যারা ওজন কমানোর ডায়েট করে থাকেন
তাদের ডায়েটের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঘুম হওয়া খুবই জরুরী। তাছাড়া ডায়েট চলাকালীন সময়ে দৈনিক ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট অবশ্যই ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাছাড়া আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এই সময় দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা ওজন কমানোর খাবার তালিকা বা ওজন কমানোর জন্য কোন কোন খাবার খেতে হবে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
তার পরেও যদি এই বিষয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন।