বিড়ালের গায়ে উকুন হলে করণীয়

বিড়ালের গায়ে অনেক সময় উকুনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এটা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকে বিড়ালের গায়ে উকুন হলে অনেক ধরনের চিন্তা করে থাকেন।বিড়ালের গায়ে উকুন হলে করণীয়কিছু কিছু কেমিক্যাল ও উপন্যাসক শ্যাম্পু ব্যবহার করে বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করা গেলেও অনেক পশু স্মৃতিশক এ সকল কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।

কেননা তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করতে বলেন। নিচে বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করার উপায় বা কিভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করা যায় সেই বিষয়ে জানানো হয়েছে।

বিড়ালের গায়ে উকুন হলে করণীয়?

বিড়ালের গায়ে উকুন হলে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করেই তা নিরাময় সম্ভব।বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করার জন্য কার্যকারী কয়েকটি উপায়ে নীচে উল্লেখ করা হলোঃ

বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করার পদ্ধতি ১

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করা যায়।অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মারতে সাহায্য করে না কিন্তু বিড়ালের গায়ে এমন অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করবে যার কারণে উকুন বিড়ালের গায়ে থেকে পালাতে বাধ্য হবে।

একটি পাত্রে আপেল সিডার ভিনেগার কিছু পরিমাণে নিয়ে তার সাথে হালকা কুসুম গরম পানি মিশিয়ে নিতে হবে।তারপরে একটি স্প্রে বোতলে এই পানি ঢুকিয়ে বিড়ালের গায়ে আস্তে আস্তে স্প্রে করতে হবে।

তবে এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যেন বিড়ালের লোম ছাড়িয়ে চামড়ার পানিটা ঢুকে যায়। এরপরে বিড়ালকে ২ মিনিট রোদে বসিয়ে রাখতে হবে তবে এই সময় খেয়াল রাখতে হবে বিড়াল যেন নিজের জিভ দিয়ে এসব না চাটে।

তারপরে একটি উকুননাশক চিরুনি দিয়ে বিড়ালের গা আঁচরাতে হবে এবং উকুন গুলো ফেলে দিতে হবে। তারপরে বিড়ালের গা সুন্দরভাবে মুছে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। তারপরেও যদি উকুন না যায় তাহলে ভিনেগার দিয়ে বিড়ালকে গোসল করিয়ে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যেসব বিড়ালের বয়স ৩ মাসের কম তাদেরকে গোসল না দেওয়াই ভালো কেননা এতে করে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

বিড়ালের গায়ে উকুন দূর করার পদ্ধতি ২

বিড়ালের গায়ে উকুন দূর করার জন্য ইংলিশ উকুননাশক শ্যাম্পু বা ন্যাপথলিন স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বিড়ালের গায়ের উকুন নিমিষে এর মধ্যেই দূর হয়ে যাবে।

তবে বেশিরভাগ বিড়াল যেহেতু নিজের গা নিজেই চাটে তাই এই কেমিক্যাল গুলো বিড়ালের প্যাটে যেতে পারে এবং এতে করে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অনেক পশু চিকিৎসক এই পদ্ধতিটি অবলম্বন না করার জন্য বলে থাকেন।

তবে যদি বিড়ালকে কথার মাধ্যমে ভুলিয়ে রাখা যায় ও নিজের কাজ চাটতে না দেওয়া যায় তাহলে এই উপায়টি ব্যবহার করতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা

বিড়ালের গায়ের উকুন দূর করার উপায় বা কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই বিড়ালের গা থেকে উকুন চিরতরে দূর করা যায় হয়তো ইতিমধ্যে জানা হয়ে গিয়েছে।

উপায় দুটি অবলম্বন করে খুব সহজেই বিড়ালের গায়ের উকুন দূর হয়ে যাবে। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

Sharing Is Caring:

This website mainly provides information on exercise, fitness, wellness, healthy living, etc. in the Bengali language.

Leave a Comment